সন্তানের স্বাস্থ্যহানির জন্য মানসিক অস্থিরতা ও উদ্বেগ। ক্রমোন্নতি ও প্রশাসনিক ক্ষমতা ও দায়িত্ব বৃদ্ধি। বিদ্যায় ... বিশদ
ক্যানিং দু’নম্বর ব্লকের জীবনতলার দিলীপ পেশায় প্রাণী পালক। আর একজন রিং মাস্টারও বটে। তবে কোনও মানুষ নয় মোরগদের গড়ে তোলেন ফাইটার হিসেবে। লড়াইয়ের সময় কখন কী প্যাঁচ কষতে হবে সেটাই শেখান। ক্যানিংয়ের সেই গ্রামে এখন নিঃশব্দে হচ্ছে ফাইটার গড়ার কাজ। তাঁর থেকে এই লড়াকু-প্রশিক্ষিত মোরগ কেনার চাহিদা রয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে এই কাজ করে চলেছেন দিলীপবাবু। জানালেন, ঝাড়খণ্ড থেকে বাচ্চা অবস্থায় মুরগি ও মোরগ কিনে আনেন। তারপর তাদের বংশবৃদ্ধি করিয়ে মোরগদের আলাদা করে পালোয়ান তৈরির কাজে নেমে পড়েন। ছ’মাস বয়স হলে মোরগরা ডাকতে শুরু করে। তখনই ওদের ফাইটার তৈরি করার কাজ শুরু হয়ে যায়। প্রথমে মুরগির দল থেকে আলাদা করা হয় মোরগদের। একেকটির জন্য আলাদা ঘর। কয়েকদিন ঘরবন্দি করে রাখলেই ওদের মধ্যে তৈরি হয় জেদ ও রাগ। মুরগির সঙ্গে মিশতে দেওয়া হয় না। এতে আরও বেশি হিংস্র হয়ে ওঠে মোরগ। সাতদিন এভাবে রাখার পর বের করে এনে একে অপরের সঙ্গে ভিড়িয়ে দেওয়া হয়। এভাবেই তৈরি করা হয় ফাইটার।
বাসন্তী, হাড়োয়া, সহ বিভিন্ন গ্রাম থেকে মোরগ কিনতে অনেকে আসেন তাঁর কাছে। ১০ থেকে ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি হয় একটি ফাইটার। জীবনতলার ওই গ্রামে দিলীপবাবু ছাড়া আর কোনও প্রশিক্ষক নেই। তবে নিজেকে নিয়ে কোনও প্রচার করেন না। কিন্তু লোকমুখেই জনপ্রিয় হয়ে গিয়েছে। বছরভর তাঁর কাছে ফাইটার কেনার ভিড় লেগে থাকে। গ্রামে গঞ্জে মোরগ লড়াই খুব জনপ্রিয়। এই নিয়ে চলে জুয়াখেলা। হাজার হাজার টাকার লেনদেন হয়। ফলে অনেকেই হিংস্র মোরগ চায়।