সন্তানের স্বাস্থ্যহানির জন্য মানসিক অস্থিরতা ও উদ্বেগ। ক্রমোন্নতি ও প্রশাসনিক ক্ষমতা ও দায়িত্ব বৃদ্ধি। বিদ্যায় ... বিশদ
মৈপীঠে গত কয়েক সপ্তাহে ছ-ছ’বার লোকালয় সংলগ্ন জঙ্গলে হানা দিয়েছে রয়েল বেঙ্গল টাইগার। এবার সরাসরি ঢুকে পড়ল গৃহস্থের উঠোনে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাত ৮-৩০ মিনিট নাগাদ মৈপীঠের ভুবনেশ্বরী মধ্য গুড়গুড়িয়ায়। গিরি পরিবারের গৃহকর্তা কোনওরকমে ছাদে ওঠেন। টর্চ জ্বেলে দেখেন ফুঁসতে ফুঁসতে বাঘটি চলে যাচ্ছে। তাঁরা খবর দেন বনদপ্তরে। টাইগার কুইক রেসপন্স টিম রাতেই ঘটনাস্থলে আসে। লোকালয় সংলগ্ন জঙ্গলে বোমাচার্জ করা হয়। মাগরি নদী পেরিয়ে বাঘের চলে যাওয়া সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে তাঁরা জানান, আজমলমারি এক নম্বর জঙ্গলে চলে গিয়েছে বাঘ। এখন গোটা গ্রাম আতঙ্কে থরথর করে কাঁপছে। বাঘকে ধরে খাঁচাবন্দি করার দাবিতে সরব উত্তেজিত গ্রামবাসীরা। গিরি পরিবার ওই ঘটনার রেশ কাটাতে পারছে না। এখানে লোকালয় সংলগ্ন জঙ্গল। তার পাশে ইটের তৈরি রাস্তা। সে রাস্তার গা ঘেঁষে গিরিদের বাড়ি। নদীতে কাঁকড়া ও মাছ ধরে সংসার চালান তারা। সে রাতের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে গৃহবধূ দেবিকা গিরি বলেন, ‘রাত ৮-৩০। ঘুমোবার তোড়জোড় করছি। বালতির উপর একটি থালা রাখা ছিল। সেটি পড়ে যেতে আওয়াজ হয়। আমি সঙ্গে সঙ্গে কে কে বলে চিৎকার করি। কোনও সাড়া না পেয়ে ঘরের দরজা একটু খুলতেই দেখি একটা বড় বাঘ শৌচালয়ের দরজায় আঁচড় দিচ্ছে। বিছানায় বসে ভয়ে ঠকঠক করে কাঁপছিলাম। হঠাৎ বিকট গর্জন। ঘরের দরজা খোলা থাকলে প্রাণে বাঁচতে পারতাম না।’ এই পরিবারের কর্তা জন্মেজয় গিরি বলেন, ‘রাতে ভয়ে বেরতেই পারিনি। এখনও রান্নাঘরের কাছে ঘরের সামনে পায়ের টাটকা ছাপ। এইভাবে কতদিন আমাদের থাকতে হবে? জানি না পরে কী হবে?’ এদিকে বাঘ দেখার খবর শুনে এই বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন অনেকে। সবাই গিরিদের কাছে রোমহর্ষক গল্প শুনতে চান।