স্ত্রীর শরীর স্বাস্থ্য নিয়ে হঠাৎ সমস্যায় মানসিক চিন্তা ও উদ্বেগ। কাজকর্ম কমবেশি এগবে। অতিরিক্ত পরিশ্রমে ... বিশদ
উল্লেখ্য, সম্প্রতি মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সন্তান প্রসবের পর অসুস্থ হয়ে পড়েন পাঁচ প্রসূতি। পরিস্থিতি খারাপ হলে তাঁদের আইসিইউ-তে স্থানান্তরিত করা হয়। ভেন্টিলেশনেও দেওয়া হয় ৩ জনকে। গত শুক্রবার ভোরে তাঁদের মধ্যে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়। অভিযোগ ওঠে, স্যালাইন দেওয়ার পরই প্রসূতির অবস্থার অবনতি হয়। অসুস্থ প্রসূতিদের মধ্যে তিনজনকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। উল্লেখ্য, আজ, বৃহস্পতিবার সকালে মেদিনীপুর মেডিক্যালে রেখা সাউয়ের শিশু পুত্রের মৃত্যু হয়েছে। এই গোটা এই ঘটনায় চিকিৎসকদেরকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন মমতা। মমতা বলেন, “চিকিৎসকরা যদি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতেন, তা হলে এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটত না।” তিনি আরও বলেন, “যাঁদের হাতে মানুষের ভাগ্য নির্ধারিত হয়। যাঁদের হাতে শিশুর জন্ম হয়। তাঁরা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করলে মা এবং শিশুকে বাঁচানো সম্ভব হত।”
এরপরই ঘটনার দিন ডিউটিতে থাকা ১২ জন চিকিৎসক এবং চিকিৎসক পড়ুয়ার নাম ঘোষণা করেন মমতা। অবিলম্বে তাঁদের সাসপেন্ড করার নির্দেশও দেন তিনি। এই তালিকায় রয়েছেন সৌমেন দাস (আরএমও, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ), দিলীপ কুমার পাল (সহকারী অধ্যাপক), হিমাদ্রি নায়েক(সহকারী অধ্যাপক), মহম্মদ আলাউদ্দিন (প্রসূতি বিভাগের প্রধান), জয়ন্ত কুমার রাউত (এমএসভিপি), পল্লবী বন্দ্যোপাধ্যায় (সিনিয়র রেসিডেন্ট), মৌমিতা মণ্ডল (পিজিটি), ভাগ্যশ্রী কুণ্ডু (পিজিটি, তৃতীয় বর্ষ), সুশান্ত মণ্ডল (পিজিটি, প্রথম বর্ষ), পূজা সাহা (পিজিটি, প্রথম বর্ষ), মণীষ কুমার (পিজিটি, প্রথম বর্ষ), জাগৃতি ঘোষ (পিজিটি)।
এদিন রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর খতিয়ান তুলে ধরেন মমতা। তিনি বলেন, “রাজ্যে স্বাস্থ্য খাতে বাজেট বেড়ে ২০ হাজার কোটি হয়েছে। ১৪ হাজার নতুন চিকিৎসক নিয়োগ করা হয়েছে। রাজ্যে নার্সিং ট্রেনিং ইনস্টিটিউট এবং তার আসন সংখ্যাও অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে।”