স্ত্রীর শরীর স্বাস্থ্য নিয়ে হঠাৎ সমস্যায় মানসিক চিন্তা ও উদ্বেগ। কাজকর্ম কমবেশি এগবে। অতিরিক্ত পরিশ্রমে ... বিশদ
এদিন মামলার শুনানি শেষে প্রিজন ভ্যানে চাপিয়ে সাজ্জাক সহ মোট তিনজনকে রায়গঞ্জ ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, পাঞ্জিপাড়ায় ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে একরচালা কালী মন্দিরের কাছে এসে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে হবে বলে পাহারাদার পুলিসকর্মীদের আর্জি জানায় সাজ্জাক। সঙ্গে থাকা অন্য দুই মহিলা আসামির পাহারায় ছিলেন লেডি কনস্টেবলরা। কম্বলমুড়ি দিয়ে প্রিজনভ্যান থেকে নামা সাজ্জাকের উপর নজর রাখতে সঙ্গে নামেন ওই এএসআই ও কনস্টেবল। ওই সূত্রটি জানিয়েছে, শৌচকার্য সেরে ফিরে আসা মাত্রই গায়ে জড়ানো কম্বল সরিয়ে পিস্তল বের করে পরপর গুলি চালায়। এরপর জাতীয় সড়কের ওই নির্জন অংশ ধরে দৌড় লাগায় সাজ্জাক। একরচালা কালীবাড়ি এলাকার এক ব্যবসায়ী গুলির আওয়াজে বেরিয়ে এসে দেখেছেন, পাঞ্জিপাড়ার দিকে দৌড়ে পালাচ্ছিল ওই বিচারাধীন বন্দি।
সাজ্জাকের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র এল কোথা থেকে? আগে থেকে জোগাড় করা নাকি পুলিসের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া? তদন্তকারীদের একটি বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, গোটা ঘটনাটি পূর্ব পরিকল্পিত। রায়গঞ্জ সেন্ট্রাল জেলে বসেই সহযোগীদের সঙ্গে পালানোর পুরো ছকটা কষেছিল সাজ্জাক। ইসলামপুর আদালতেই তার কোনও সহযোগী কোনওভাবে আগ্নেয়াস্ত্রটি সরবরাহ করেছে বলে মনে হচ্ছে। পুলিস সুপার জে বি থমাস বলেন, জখম পুলিস কর্মীদের বয়ান নেওয়া হয়েছে। যোগাযোগ করা হচ্ছে বিহার পুলিসের সঙ্গেও।