স্ত্রীর শরীর স্বাস্থ্য নিয়ে হঠাৎ সমস্যায় মানসিক চিন্তা ও উদ্বেগ। কাজকর্ম কমবেশি এগবে। অতিরিক্ত পরিশ্রমে ... বিশদ
জিজ্ঞাসাবাদে নার্স এবং অপারেশন থিয়েটারের কর্মীরা জানিয়েছেন, সেই রাতে কোনও সিজারই আরএমও করেননি। তিন ও চার নম্বর পাতায় লেখা রয়েছে, ‘অপারেশন থিয়েটারের কর্মীরা জানিয়েছেন, ওইদিন রাতে দু’টি ওটি টেবলে একইসঙ্গে অপারেশন চলছিল। কিন্তু আরএমও রাতের ৫টা সিজারের একটিও করেননি। সবক’টিই করেছেন পিজিটি ও ইন্টার্নরা। তাঁদের সহযোগিতা করেছেন একজন ওটি টেকনোলজিস্ট! সিজার শুরুর ১০-১৫ মিনিটের মধ্যে সন্তান প্রসব হলেও ক্ষতস্থান বন্ধ করা হয়েছে দীর্ঘসময় পর।’ এই রিপোর্টেই সিলমোহর দিচ্ছে সিআইডি। কারণ প্রাথমিক তদন্তের পর তারা দাবি করেছে, ওই রাতে সিনিয়র ডাক্তারদের মধ্যে অন্তত দু’জন হাসপাতালেই ছিলেন না। তাঁরা ব্যক্তিগত প্র্যাকটিস করতে চলে গিয়েছিলেন। খাতায় কলমে তাঁদের উপস্থিতি শুধু দেখানো হয়েছে। ৮ ও ৯ জানুয়ারির সিসি ক্যামেরার ফুটেজ এবং মোবাইল টাওয়ারেও তাঁদের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।
বুধবার প্রিন্সিপালও জেরায় জানিয়েছেন, ওটি রুমে সেদিন কোনও সিনিয়র ডাক্তার ছিলেন না। জিজ্ঞাসাবাদ হয় ময়নাতদন্তকারী তিন ডাক্তারেরও। তদন্তকারীরা জানতে চান, দেহে কী ধরনের আঘাত ছিল? কোথায় ছিল? এই আঘাত কি অপটু হাতের জন্য হয়েছে? একইসঙ্গে আধিকারিকরা জোর দিচ্ছেন স্যালাইন বিতর্কেও। ওই ব্যাচের এক ইউনিট স্যালাইন তাঁরা রিক্যুইজিশন দিয়ে সংগ্রহ করেন। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, তাতে কিছু গোলমাল রয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলার পরই সে ব্যাপারে নিশ্চিত হবেন তাঁরা।