স্ত্রীর শরীর স্বাস্থ্য নিয়ে হঠাৎ সমস্যায় মানসিক চিন্তা ও উদ্বেগ। কাজকর্ম কমবেশি এগবে। অতিরিক্ত পরিশ্রমে ... বিশদ
ইডির বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি ভাস্করপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমাদের তরফে যাবতীয় তথ্যপ্রমাণ সহকারে ধৃতের জামিনের জোরালো আপত্তি জানানো হয়েছিল।’ প্রাক্তন মন্ত্রীর কৌঁসুলি শ্যামল ঘোষ বলেন, ‘এই মামলায় বিচার কবে শুরু হবে, তা একটি সুদূরপ্রসারি বিষয়। মামলায় সাক্ষীর সংখ্যা অনেক। তাহলে কেন বিচারের অভাবে একজন মানুষ দীর্ঘদিন জেলে থাকবেন? শুনানিতে আমরা এই কথাই তুলে ধরেছি। শেষ পর্যন্ত আমরা প্রাথমিক ন্যায়বিচার পেলাম।’ এদিন দুপুরে বিচার ভবন থেকে তাঁর জামিনের খবর প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে পৌঁছতেই দৃশ্যতই আপ্লুত হয়ে পড়েন প্রাক্তন মন্ত্রী।
গ্রেপ্তার হওয়ার ৪০৯ দিনের মাথায় জামিন পেলেন বালু। এই সময়ের মধ্যে একাধিকবার তাঁর জামিনের আর্জি বাতিল করে দিয়েছে বিভিন্ন আদালত। সম্প্রতি ফের জামিনের আবেদন জানানো হয়েছিল। আট কিস্তিতে চলে এই আবেদনের শুনানি। প্রতিটি শুনানি হয় ভার্চুয়াল মাধ্যমে। প্রসঙ্গত, রেশন দুর্নীতি মামলায় বালুকে টানা ২০ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। নিয়ম অনুযায়ী তাঁকে আদালতে তোলার সময় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়। তারপর থেকে তিনি প্রেসিডেন্সি জেলেই বন্দি ছিলেন। সেখানে জেল হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলত। জামিনের শুনানিতে ইডির অভিযোগ ছিল, ‘অভিযুক্ত দুর্নীতির সাগর। তিনি দুর্নীতিকারীদের গন্তব্য। গোটা বিষয়টি তাঁর মোটেও অজানা ছিল না।’ পরবর্তী তদন্তে রেশন দুর্নীতির আরও নানা তথ্য ইডির হাতে আসে। তদন্তও গতি পায়। সেই সঙ্গে প্রতিটি শুনানিতে জ্যোতিপ্রিয়কে ‘প্রভাবশালী’ বলে আখ্যা দেয় ইডি। আদালতে তাদের আইনজীবীর বক্তব্য ছিল, অভিযুক্ত জামিন পেলে মামলা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। দীর্ঘ সওয়াল-জবাবের পর অবশেষে শর্ত সাপেক্ষে জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক। আদালতে জামিন মেলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে, এদিন সন্ধ্যাতেই জেল থেকে বেরিয়ে আসেন জ্যোতিপ্রিয়।