স্ত্রীর শরীর স্বাস্থ্য নিয়ে হঠাৎ সমস্যায় মানসিক চিন্তা ও উদ্বেগ। কাজকর্ম কমবেশি এগবে। অতিরিক্ত পরিশ্রমে ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের লালগোলা থেকে শিয়ালদহ স্টেশনের দূরত্ব প্রায় ২২৭ কিলোমিটার। পাঁচ ঘণ্টার বেশি যাত্রাপথে বাথরুম যুক্ত মেমু কোচ সাধারণ যাত্রীদের ভরসা ছিল। কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে সাধারণ লোকাল ট্রেনের কোচ (ইএমইউ) দেওয়ায় সাধারণ যাত্রীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছিলেন। অনেক বয়স্ক যাত্রী শৌচকর্মের জন্য ট্রেন থেকে মাঝপথে নামতে একপ্রকার বাধ্য হচ্ছিলেন। এনিয়ে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়েছিল। অভিযোগ, পূর্ণকুম্ভের জন্য মেমু কোচগুলি নর্দান রেলওয়েতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এমনকী, রেলমন্ত্রীকে জানিয়েও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ। যদিও রেলের তরফে ওইসব কোচ কুম্ভ মেলার জন্য পাঠানোর কথা অস্বীকার করা হয়েছিল।
এই পরিস্থিতিতে পূর্বরেলের জেনারেল ম্যানেজার মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ওই রুটে মেমুর বদলে আধুনিক ইএমইউ কোচ চালানো হচ্ছে। যাত্রীদের শৌচকর্মের অসুবিধা হলে রানাঘাটে ট্রেন কিছুটা সময় দাঁড়াবে।
কিন্তু ভুক্তভোগী যাত্রীরা বলছেন, লালগোলা থেকে রানাঘাট যেতে তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা সময় লাগে। এই দীর্ঘ সময়ে প্রস্রাব বা মলত্যাগের প্রয়োজন হলে কি হবে। অনেকের প্রশ্ন, রানাঘাট স্টেশনে কতগুলি শৌচাগার আছে? শুধুমাত্র লালগোলার প্রতিটি কামরা থেকে ১০ জন করে যাত্রী শৌচকর্ম করতে চাইলে তা সম্পন্ন হতে কত সময় লাগবে? স্বরূপ মিত্র নামের এক নিত্যযাত্রী বলেন, বন্দে ভারত কি আধুনিক ট্রেন নয়? সেখানে শৌচালয় আছে কীভাবে? তাহলে বন্দে ভারত সহ বাকি ট্রেনকেও আধুনিক করতে শৌচালয় তুলে দিক। এই ধরনের কথা যাঁরা বলেন, তাঁরা এসি ঘরে বসে সিদ্ধান্ত নিতে অভ্যস্ত। তাঁদের বাস্তববোধ নেই। যাত্রীদের সমস্যা সমাধানের কোনও মানসিকতা নেই।