স্ত্রীর শরীর স্বাস্থ্য নিয়ে হঠাৎ সমস্যায় মানসিক চিন্তা ও উদ্বেগ। কাজকর্ম কমবেশি এগবে। অতিরিক্ত পরিশ্রমে ... বিশদ
এদিন শরৎসদনে কনক্লেভের উদ্বোধন করেন খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও উদ্যানপালন দপ্তরের মন্ত্রী অরূপ রায়। সভাপতিত্ব করেন এমএসএমই দপ্তরের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। এছাড়াও ছিলেন এমএসএমই ও বস্ত্রদপ্তরের প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেন, কাবেরী দাস, হাওড়া পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ডাঃ সুজয় চক্রবর্তী, জেলাশাসক পি দিপাপ্রিয়া, জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি অজয় ভট্টাচার্য, জেলার সমস্ত বিধায়ক ও বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের আধিকারিকরা। কনক্লেভে অংশ নেন জেলার ৬০০ জনেরও বেশি নতুন উদ্যোগপতি। তাঁদের জন্য বিভিন্ন দপ্তরের তরফে ৩০টি হেল্প ডেস্কের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। পাশাপাশি ব্যাঙ্ক ঋণের সমস্যার সমাধানের জন্য ফিনান্স ক্লিনিকও বসানো হয়েছিল। কনক্লেভে এমএসএমই ও বস্ত্রদপ্তরের প্রধান সচিব এবং বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকরা শিল্পোদ্যোগীদের সঙ্গে আলোচনা করেন। কয়েকটি ক্ষেত্রে যে জট রয়েছে, তা কাটাতে মুখ্যসচিব হাওড়ার জেলাশাসককে স্থানীয় চেম্বার্স ও শিল্প সংগঠনের সঙ্গে আলোচনায় বসার নির্দেশ দেন। এদিন ২৬ জন শিল্পোদ্যোগীর হাতে ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ও রাজ্য সরকারের প্রকল্পের সহায়তা তুলে দেওয়া হয়।
মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ বলেন, ‘ছোট ও মাঝারি উদ্যোগীদের সাহায্যের পাশাপাশি বিভিন্ন স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকেও সহায়তা করা হচ্ছে।’ এমএসএমই দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি আর্থিক বছরে ব্যবসা স্থাপন ও সম্প্রসারণের জন্য ইতিমধ্যেই ৮,৭৭৩টি আবেদন অনুমোদিত হয়েছে। শুধু হাওড়া পুরসভাই ৮,৯০০টি ট্রেড লাইসেন্স প্রদান করেছে। বাংলাশ্রী প্রকল্পে ৩৭টি এমএসএমইকে ১০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে। জগৎবল্লভপুরের বড়গাছিয়ায় মেটাল স্পেয়ার পার্টস ক্লাস্টারে সিএফসি তৈরির জন্য ৩০ লক্ষ টাকা বরাদ্দের পাশাপাশি উলুবেরিয়ায় শাটল কক ক্লাস্টারে সিএফসি স্থাপনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। উলুবেড়িয়া ২ নম্বর ব্লকের রঘুদেবপুরে রাবার মোল্ডেড পণ্যের ১০০টি ইউনিট আধুনিকীকরণের জন্য ১৮ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। সংস্কার ও আধুনিকীকরণ হয়েছে সাঁকরাইলের জরি হাবের। ইতিমধ্যেই ২৫ লক্ষ টাকার আধুনিক স্বয়ংক্রিয় মেশিন বসানো হয়েছে সেখানে। আরও যন্ত্রপাতি বসানোর জন্য ১৮ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হচ্ছে। এতে সাঁকরাইল, পাঁচলা, ডোমজুড়, উলুবেড়িয়া ১ ও ২ নম্বর ব্লকের ২৫ হাজারেরও বেশি জরি কারিগর সরাসরি উপকৃত হবেন। জগৎবল্লভপুরের ইমিটেশন জুয়েলারি ও পরচুলা প্রক্রিয়াকরণ শিল্পেও বড় অঙ্কের টাকা বরাদ্দ করছে দপ্তর।
দপ্তরের দাবি, ২০২৩-’২৪ আর্থিক বছরে এমএসএমই ক্ষেত্রে মোট ৯,৩২৪ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছিল ব্যাঙ্কগুলি। চলতি আর্থিক বছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক পর্যন্ত ৫,৬২১ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়ে গিয়েছে। ফলে আগামী দু’বছরে জেলার এমএসএমই ক্ষেত্রে সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ আসার সম্ভাবনা জোরালো হয়েছে। এতে কর্মসংস্থান হবে ৭৫ হাজার মানুষের। রাজ্যের দুই মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা ও অরূপ রায় বলেন, ‘এই হাওড়াকে একসময় পূর্বের শেফিল্ড বলা হতো। বাম আমলে জেলার শিল্প ধুঁকতে ধুঁকতে শেষ হয়ে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখানো পথেই এবার প্রাণ পাবে জেলার শিল্প।’