অর্থপ্রাপ্তির ক্ষেত্রটি বেশ অনুকূল। ব্যবসা, পেশা প্রভৃতি সব কর্মেই কমবেশি উন্নতি ও প্রসারের যোগ। ধর্ম ... বিশদ
হুগলির উত্তরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক। একাধিক কারণে তিনি গত কয়েক মাসে বারবার সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছেন। তাঁর বিভিন্ন কর্মকাণ্ড ঘিরে বিতর্ক যেমন হয়েছে, তেমনই সোশ্যাল মিডিয়ায় মিম, জোকস, ট্রোলের বন্যা বয়ে গিয়েছে। ইউটিউব ছেয়ে গিয়েছে কাঞ্চনকে কেন্দ্র করে নানা গালগপ্প, মুখরোচক খবরে। বছরের শেষ প্রান্তে এসেও তিনি রয়ে গেলেন চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে। আজ, বুধবার বড়দিন। উৎসবের মেজাজে গা ভাসাবে আট থেকে আশি। ঠিক তার আগের দিন কাঞ্চনের এই চিকিৎসা বিল সংক্রান্ত খবরে ব্যাপক গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
বিধানসভার সচিবালয় সূত্রে খবর, পার্ক স্ট্রিট সংলগ্ন দক্ষিণ কলকাতার একটি হাসপাতালে সম্প্রতি কাঞ্চনের স্ত্রী সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। সেই চিকিৎসার খরচ বাবদ বিল নিয়েই যাবতীয় জল্পনার সূত্রপাত। সেই বিলে চিকিৎসকদের খরচ চার লক্ষ এবং অন্যান্য খরচ ২ লক্ষ টাকা দেখানো হয়েছে বলে খবর। বেসরকারি হাসপাতালে সাধারণত প্যাকেজ হিসেবে প্রসবকালীন চিকিৎসা হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে এত টাকা খরচ আদৌ সম্ভব কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অভিজ্ঞ এক সূত্র জানিয়েছে, যে কোনও হাসপাতালে গাইনেকোলজিস্ট, পেডিয়াট্রিশিয়ান বা নিওনেটোলজিস্ট ও অ্যানাস্থেটিস্টদের নিয়ে তৈরি একটি টিম সিজারিয়ান প্রসব করিয়ে থাকে। জেলা, মহকুমা বা ব্লক স্তরের ছোট-মাঝারি প্রাইভেট হাসপাতালে এক্ষেত্রে চিকিৎসকদের ফি (হাসপাতাল খরচ বাদে) সর্বনিম্ন ৫-১০ হাজার টাকা হতে পারে। কলকাতার কোনও পাঁচতারা কর্পোরেট হাসপাতালে নামজাদা চিকিৎসকদের টিমে প্রসবকালীন খরচ সর্বোচ্চ হতে পারে দেড় লক্ষ টাকা। তারও বেশি খরচ কার্যত অসম্ভব শুধু নয়, সেই খরচের সঙ্গে দুর্নীতির যোগ থাকলেও থাকতে পারে। এই প্রেক্ষাপটে ৬ লক্ষ টাকার চিকিৎসা বিল ছাড়পত্র পাবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বিধায়করা চিকিৎসার যে বিল জমা দেন, তা আমি নিজে যাচাই করি। কোনও প্রশ্নচিহ্ন থাকলে সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলি।’ কাঞ্চন মল্লিকের বক্তব্য, ‘যে বিল হয়েছে, তার সব তথ্যপ্রমাণ, কাগজপত্র রয়েছে আমার কাছে। তবে এই বিল এখনও আমি জমাই দিইনি। এটা আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার। কোনও কথা বাইরে জানাতে বাধ্য নই।’ -ফাইল চিত্র