অর্থপ্রাপ্তির ক্ষেত্রটি বেশ অনুকূল। ব্যবসা, পেশা প্রভৃতি সব কর্মেই কমবেশি উন্নতি ও প্রসারের যোগ। ধর্ম ... বিশদ
যাদবপুরের সমাবর্তন নিয়ে রাজভবনের অভিযোগ ছিল যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘স্ট্যাটিউট’ (বিধি) না মেনে তাড়াহুড়ো করে সমাবর্তনের আয়োজন করা হয়েছে। বিষয়টিকে ‘সম্পূর্ণ বেআইনি’ বলে অ্যাখা দেন রাজ্যপাল। বিশ্ববিদ্যালয়কে চিঠি দিয়ে তিনি এটাও উল্লেখ করেন যে, স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করা হবে কিছুদিনের মধ্যেই। তাঁর হাতেই সমাবর্তনের দায়িত্ব দেওয়া ভালো। এত তাড়াহুড়ো কেন করা হচ্ছে? তাড়াহুড়োয় সমাবর্তন করা হলে ডিগ্রি প্রাপকদের সমস্যা হতে পারে বলেও জানানো হয়।
আগেই সিদ্ধান্ত হয়েছে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে এ বারও সাম্মানিক ডি-লিট বা ডিএসসি দেওয়া হবে না। শুধু পড়ুয়াদের ডিগ্রি দেওয়া হবে। এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে রয়েছেন খড়্গপুর আইআইটি-র প্রাক্তন অধিকর্তা অমিতাভ ঘোষ।
উল্লেখ্য, গত বছর সমাবর্তন ঘিরেও চূড়ান্ত বিতর্ক দেখা দেয়। রাজ্যপাল সমাবর্তন করতে বারণ করেন। তৎকালীন অন্তর্বর্তী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ সেই আপত্তি গ্রাহ্য না করে রাজ্য সরকারের অনুমতি নিয়ে সমাবর্তনের আয়োজন করেন। সমাবর্তনের ঠিক আগের রাতে তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দেন রাজ্যপাল। তারপরেও রাজ্য সরকারের অনুমতিকে গুরুত্ব দিয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠান করেন বুদ্ধদেব।
সমাবর্তনে রাজ্যপালের অনুপস্থিতি প্রসঙ্গে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী এবং বর্তমান শিক্ষক রাজ্যেশ্বর সিন্হা বলেন, ‘রাজ্যপাল একবার বলছেন সমাবর্তনে আসব। আর একবার বলছেন, না। ওঁর এই আচরণ কেবল বিশ্ববিদ্যালয়ের গরিমার জন্যই নয়, রাজ্যপাল পদের গরিমার সঙ্গে সাযুজ্যপূর্ণ নয়।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের কথায়, ‘উনি (রাজ্যপাল) আসেননি। আমি কী করব? এলে খুব ভালো লাগত।’