অর্থপ্রাপ্তির ক্ষেত্রটি বেশ অনুকূল। ব্যবসা, পেশা প্রভৃতি সব কর্মেই কমবেশি উন্নতি ও প্রসারের যোগ। ধর্ম ... বিশদ
ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প দপ্তরের আওতায় একটি প্রকাশনা সংস্থা আছে, যার নাম ‘শিল্পবার্তা প্রিন্টিং প্রেস লিমিটেড’। এক সময় রাজ্য সরকারের যা কিছু ছাপানোর প্রয়োজন হতো, তার অধিকাংশের বরাত আসতে এই প্রকাশনা সংস্থায়। পরবর্তীকালে সরস্বতী প্রেস চালু হওয়ার পর বরাত অনেকটাই কমে যায়। আধুনিকীকরণের দিক থেকে সরস্বতী প্রেসের কাছে কিছুটা পিছিয়ে পড়ে শিল্পবার্তা। করোনাকালে আর্থিকভাবে খানিকটা পিছিয়েও ছিল। তবে এখন আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে শিল্পবার্তা। এই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটির লাভের অঙ্ক যাতে আরও বাড়ানো যায়, তার উদ্যোগ শুরু হয়েছে নবান্নের তরফে। খাতা ছাপানো এবং বিক্রি সেই উদ্যোগেরই অংশ।
এমএসএমই দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘শিক্ষাসাথী’র আওতায় আপাতত তিন ধরনের খাতা বাজারে আনা হচ্ছে। তার মধ্যে দু’টি খাতা ১৬০ পৃষ্ঠার। সেগুলির দাম ৭০ টাকা করে। ১০০ পাতার একটি খাতার দাম ৩৭ টাকা। দপ্তরের কর্তাদের দাবি, বাজারে যে প্রিমিয়াম গুণমানের খাতা পাওয়া যায়, এগুলি সেই ধাঁচেই আনা হচ্ছে। তবে দাম তুলনায় কম। আপাতত মঞ্জুষার স্টলগুলির পাশাপাশি কনজিউমার কো-অপারেটিভ শো-রুমগুলি থেকে মিলবে খাতা। ক্রেতা সুরক্ষা মেলার মতো সরকারি মেলাগুলিতে পাওয়া যাবে এই খাতাগুলি। আগামী দিনে রেশন দোকান থেকেও যাতে এই খাতা পাওয়া পাওয়া যায়, তার উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দপ্তরের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা। তিনি বলেন, ‘আমরা যে খাতা আনছি, তার গুণগত মান খুব ভালো। আপাতত মঞ্জুষার স্টলগুলি থেকে তা বিক্রি করার সিদ্ধান্ত হলেও রেশন দোকান থেকেও বিক্রির পরিকল্পনা আছে। পড়ুয়াদের জন্য রাজ্য সরকারের যে প্রকল্পগুলি আছে, সেগুলি আরও একবার মনে করিয়ে দিতে চাই আমরা। তাই সেগুলির উল্লেখ থাকবে খাতায়।’