অর্থপ্রাপ্তির ক্ষেত্রটি বেশ অনুকূল। ব্যবসা, পেশা প্রভৃতি সব কর্মেই কমবেশি উন্নতি ও প্রসারের যোগ। ধর্ম ... বিশদ
২০ ডিসেম্বর জয়পুর-আজমির জাতীয় সড়কে ট্যাঙ্কারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আহতদের দেখতে সোয়াই মান সিং মেডিক্যাল কলেজে উপচে পড়ে ভিআইপিদের ভিড়। সেই প্রসঙ্গ টেনে অবিলম্বে জরুরি পরিস্থিতিতে হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজগুলিতে ভিআইপিদের আনাগোনার ব্যাপারে জাতীয় প্রোটোকল বা সুনির্দিষ্ট নিয়ম তৈরির অনুরোধ জানাল সর্বভারতীয় চিকিৎসক সংগঠন ইউনাইটেড ডক্টর্স ফ্রন্ট (ইউডিএফ)।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাঃ জে পি নাড্ডাকে এক চিঠিতে তারা ওই প্রোটোকলে কয়েকটি বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশও করেছে। প্রথমত, কোনও বিপর্যয়ের পরই যেন হাসপাতালে ভিআইপিদের ভিড় শুরু না হয়ে যায়। আহত-গুরুতর আহত বা জখমদের জরুরি চিকিৎসায় যেন চিকিৎসক-কর্মীরা হাতে সময় পান। তারপরই যেন ভিআইপিদের হাসপাতাল প্রবেশে অনুমতি মেলে। দ্বিতীয়ত, যাঁরাই আসছেন, কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যেন কথা বলে আসেন। তৃতীয়ত, ৩০ মিনিটের বেশি সময় যেন সাক্ষাতের জন্য বরাদ্দ না করা হয়। চতুর্থত, সাক্ষাৎ চলাকালীন রোগী পরিষেবা যাতে ব্যাহত না হয়। পঞ্চমত, ভিআইপিদের জন্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যেন আগেই কথা হয়ে যায়। ভিআইপিদের অফিসারের সঙ্গে হাসপাতাল কর্মীদের সঙ্গে সমন্বয় থাকে। রোগীদের আসা যাওয়ার রাস্তা যেন পরিষ্কার থাকে। ইউডিএফ-এর সর্বভারতীয় সভাপতি ডাঃ লক্ষ্য মিত্তল বলেন, জরুরি পরিস্থিতি বা বড়সড় বিপর্যয়ে রাজনীতিবিদদের উদ্বেগকে আমরা সম্মান জানাই। পাশাপাশি এটাও সত্য, ওইসময় সবচেয়ে আগে প্রয়োজন আহতদের প্রাণ বাঁচাতে জরুরি পরিষেবা। রাজ্যের অর্থসহ একাধিক দপ্তরের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, রোগীর ‘ভিআইপি’, ‘এলআইপি’ হয় না। রোগীর প্রতি সহানুভূতি জানাতে আসা মানুষের ক্ষেত্রেও তাই হওয়া উচিত।