অর্থপ্রাপ্তির ক্ষেত্রটি বেশ অনুকূল। ব্যবসা, পেশা প্রভৃতি সব কর্মেই কমবেশি উন্নতি ও প্রসারের যোগ। ধর্ম ... বিশদ
আগামী বছরের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত এই খরিফ মরশুমের ধান কেনার কাজ চলবে। ৬৬ লক্ষ টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। ১৮ লক্ষ চাষি সরকারের কাছে ধান বিক্রির জন্য নাম নথিভুক্ত করেছেন। ইতিমধ্যে প্রায় ৭ লক্ষ চাষির কাছ থেকে ধান কেনা হয়েছে। দু’মাসের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রার ২৫ শতাংশ পূরণ হয়ে গিয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি জেলা বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রার ৪০ শতাংশ ধান ইতিমধ্যে কিনে ফেলেছে। খাদ্যদপ্তরের রিপোর্ট অনুযায়ী, উত্তর দিনাজপুর জেলা ডিসেম্বর পর্যন্ত যে লক্ষ্যমাত্রা ছিল তার দেড়শো শতাংশ ধান কিনেছে।
নভেম্বর মাস থেকে ধান কেনা শুরু হওয়ার পর ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় ২২ লক্ষ টন ধান কেনা হয়েছে। খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ জানিয়েছেন, ডিসেম্বর পর্যন্ত যে লক্ষ্যমাত্রা ছিল তা পূরণ হয়ে গিয়েছে। কেন্দ্র সরকার ধান কেনার জন্য রাজ্যের বকেয়া ন্যায্য প্রাপ্য বাবদ প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকারও বেশি দেয়নি। তা সত্ত্বেও নিজস্ব তহবিলের টাকায় রাজ্য ধান কেনা চালিয়ে যাবে বলে মন্ত্রী জানিয়েছেন।
ধান কেনার প্রক্রিয়া যাতে স্বচ্ছ হয় তার উপর বিশেষ জোর দিয়েছে খাদ্যদপ্তর। ফড়েরা কোনওভাবেই যেন চাষির নামে ধান বিক্রি করতে না পারে তার জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সব ধান ক্রয় কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক পয়েন্ট অব পারচেজ (ই-পপ) যন্ত্র বসানো হয়েছে। সেখানে চাষির আধার নম্বর বায়োমেট্রিক যাচাই করে ধান কেনা হচ্ছে। নথিভুক্ত করার সময় আধার নম্বর যাচাই করা হচ্ছে। কিছু ক্ষেত্রে কৃষি সমবায় সংস্থাগুলির অস্থায়ী ক্রয় শিবিরে ই-পপ যন্ত্র ঠিকমতো ব্যবহার হচ্ছে না বলে খাদ্যদপ্তরের নজরে এসেছে। কোন শিবিরে তিনদিন ওই যন্ত্র ব্যবহার না করলে সেই সংস্থার শিবির বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে খাদ্যদপ্তর নির্দেশ দিয়েছে।