প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ততা বৃদ্ধি। গৃহে কোনও শুভানুষ্ঠান উপলক্ষে অতিথি সমাগমে আনন্দ। দেহে আঘাত ... বিশদ
খুচরো বাজারে অবশ্য হিমালিনি নামে খুব কম জায়গায় আলু বিক্রি করা হয়। সাধারণত জ্যোতি ও চন্দ্রমুখী আলু বিক্রি করা হয় বাজারে। কৃষি বিপণন বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে চন্দ্রমুখী নামে যে আলু বিক্রি করা হয় তা আসলে হিমালিনি। কারণ ফলন খুব কম হওয়ার জন্য এত বেশি পরিমাণে চন্দ্রমুখী আলু বাস্তবে বাজারে আসা সম্ভব নয়। জ্যোতির সঙ্গে চন্দ্রমুখী আলুর দাম সাধারণত প্রতি কেজিতে ৪-৫ টাকা বেশি হয়। সাধারণ ক্রেতাদের একটা বড় অংশ, বিশেষ করে শহরাঞ্চলের লোকজনের পক্ষে চোখে দেখে হিমালিনি ও চন্দ্রমুখী আলুর মধ্যে ফারাক বোঝা সম্ভব হয় না। ফলে ‘চন্দ্রমুখী’ আলু কিনছেন ভেবে অনেকেই আসলে বেশি দাম দিয়ে হিমালিনি কিনে বাড়ি ফেরেন ।
হিমালিনি আলুর চাষ করার খরচা জ্যোতির মতো। কিন্তু এতে জ্যোতির তুলনায় ১০ থেকে ১৫ শতাংশ বেশি ফলন হয়। প্রতি কুইন্টালে চাষিও জ্যোতির তুলনায় ২০০ টাকার মতো বেশি দাম পান। ফলন বেশি ও অধিক দাম পাওয়ার জন্য চাষিদের মধ্যে হিমালিনি আলুচাষের আগ্রহ বাড়ছে। জানালেন প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক লালু মুখোপাধ্যায়। একইসঙ্গে তিনি সতর্ক করেছেন যে, অসময়ের বৃষ্টিতে জ্যোতির তুলনায় হিমালিনি আলুগাছের ক্ষতির আশঙ্কা বেশি থাকে। তবু এই ঝুঁকি নিয়েও বেশি দাম পাওয়ার আশায় রাজ্যে হিমালিনি আলুর চাষে আগ্রহ বাড়ছে।