বিশ্বজিৎ দাস, কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গে এই প্রথম ডাক্তারি এবং ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়াদের মত বিনিময়ের জন্য যৌথমঞ্চ তৈরি হচ্ছে। সৌজন্যে রাজ্য স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়। বিভিন্ন মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কলেজের পড়ুয়া এবং তথ্যপ্রযুক্তি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্রছাত্রী এই মঞ্চ ভাগ করে নেবেন। ডেটা অ্যানালিসিস অ্যান্ড সাইবার সিকিউরিটি, বায়ো ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট, মেডিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ সহ ছ’টি বিষয়ে একসঙ্গে তাঁরা বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবেন। এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সূচনা হবে ‘হেকোমেড’ শীর্ষক এই কর্মসূচির। তারই প্রস্তুতি হিসেবে ১৫ মার্চ কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত হয় ‘ডিজিটাল হেল্থ প্রোগ্রাম’। সেখানে হাজির ছিলেন ১৬টি মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কলেজের ২০০ ছাত্রছাত্রী। অনলাইনে উপস্থিত ছিলেন আরও প্রায় ৪০ জন। ১৭ ও ১৮ মার্চ একই ধরনের কর্মসূচি চলে পুরুলিয়া এবং ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, কোনও সমস্যার সমাধান যৌথভাবে বের করার কাজে সেরা বিবেচিত হবেন যাঁরা, ৬ লক্ষ টাকা অর্থমূল্যের পুরস্কার পাবেন তাঁরা। ছ’টি বিষয়ের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানাধিকারীর জন্য থাকছে মোট ১ লক্ষ টাকা অর্থমূল্যের পুরস্কার। এ বিষয়ে মঙ্গলবার রাজ্য স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, দুই স্বাস্থ্য অধিকর্তা সহ পদস্থ কর্তাদের উপস্থিতিতে বৈঠক হয়। ছিলেন মডার্ন মেডিসিন এবং ডেন্টাল শাখার ডিনও। রাজ্য স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডাঃ সুহৃতা পাল বলেন, স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এই ধরনের কর্মসূচি এই প্রথম নেওয়া হল। আমরা চাই, ছেলেমেয়েরা সফল পেশাদার হোক। চিকিৎসার বহু ক্ষেত্র আছে, যেখানে প্রযুক্তির ভূমিকা অপরিসীম। আবার বহু ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের পরামর্শ জরুরি। এই দুই পৃথক ক্ষেত্রের পড়ুয়া পাশাপাশি এলে বহু কঠিন ও জটিল সমস্যার সমাধান মিলতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্তা বলেন, যেমন প্রেসার মাপার যন্ত্র, থার্মোমিটার, স্মার্ট ওয়াচ—সবই এমন ধরনের যন্ত্র, যেখানে চিকিৎসক এবং প্রযুক্তিবিদের চিন্তাভাবনার মেলবন্ধন থাকা খুব জরুরি। একই কথা প্রযোজ্য আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রেও। তাই দুই বিভাগের পড়ুয়া মত বিনিময়ের মাধ্যমে কোনও কাজ করলে সুফল মিলবে দ্রুত।