সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় সাফল্য প্রাপ্তি। কর্মে দায়িত্ব বৃদ্ধিতে মানসিক চাপবৃদ্ধি। খেলাধূলায় সাফল্যের স্বীকৃতি। শত্রুর মোকাবিলায় সতর্কতার ... বিশদ
শ্যামপুরের বাগবড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা মায়া চক্রবর্তী তিন বছর বয়সে পোলিও রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের মেয়ে মায়াকে বিভিন্ন হাসপাতালে দেখালেও সে ভালোভাবে চলতে পারত না। এমন মেয়েকে নিয়ে অথৈ জলে পড়ে পরিবারটি। এরই মাঝে মায়ার বাবা মিহিরলাল চক্রবর্তী মারা যাওয়ায় আরও সমস্যায় পড়েন মায়ার মা দিপালী চক্রবর্তী। মেয়ের চিকিৎসা করানোর জন্য তিনি অন্যের বাড়িতে কাজ শুরু করেন। এরই মাঝে মায়ার বয়স যখন ৯ বছর, তখন এক প্রতিবেশী মারফত উলুবেড়িয়া আশা ভবন সেন্টারের খোঁজ পান দিপালীদেবী। ভবিষ্যতের কথা ভেবে মেয়েকে ভর্তি করে দেন সেখানে। তারপর থেকে সেখানকার আবাসিক হয়ে ওঠেন মায়া। আশা ভবন সূত্রে খবর, উলুবেড়িয়ায় থাকাকালীন নিয়মিত থেরাপির মাধ্যমে মায়া আস্তে আস্তে নিজের প্রতিবন্ধকতাকে জয় করতে শুরু করে। নিজের পায়ে হেঁটে স্কুলে যাওয়ার পাশাপাশি উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে মায়া। এর পাশাপাশি মায়া নার্সিং ট্রেনিংও পাশ করেন। বর্তমানে একজন সফল নার্স হিসেবে আশা ভবনে কর্মরত তিনি। ভারত সরকারের দু’বছরের ডি এড কোর্স করে বর্তমানে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের সমাজে প্রতিষ্ঠা করার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন মায়া। এরই মধ্যে আশা ভবনের করোনা আক্রান্ত ১০ বছরের এক বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুর সেবা করে তাকে করোনা মুক্ত করায় এবারে মায়াকে রোল মডেল হিসেবে বেছে নিয়েছে রাজ্য সরকার।
এই পুরস্কার পাওয়ার খবরে খুশি মায়া। বললেন, ছোটবেলায় যখন অন্য শিশুরা স্কুল গিয়ে দৌড়াদৌড়ি করত, তখন আমার খারাপ লাগত। আমি কোনওদিন ভাবতে পারিনি, নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারব। জীবনে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে সাহায্য করায় আশা ভবন সেন্টারের সকলের কাছে আমি বিশেষ কৃতজ্ঞ।