সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় সাফল্য প্রাপ্তি। কর্মে দায়িত্ব বৃদ্ধিতে মানসিক চাপবৃদ্ধি। খেলাধূলায় সাফল্যের স্বীকৃতি। শত্রুর মোকাবিলায় সতর্কতার ... বিশদ
জরুরি ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সি, ফিরহাদ হাকিম এবং অরূপ বিশ্বাস। প্রশান্ত কিশোরও হাজির ছিলেন নেত্রীর ওই বৈঠকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট বলেছেন, উদ্বেগের কিছুই নেই। উন্নয়নই হবে আমাদের অস্ত্র। মানুষকে বোঝাতে হবে, আমাদের সরকার তাঁদের জন্য কী কী কাজ করেছে। তুলে ধরতে হবে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার খতিয়ান। তৃণমূল হার মানে না। মানবে না।
এদিনই তিনি রাজ্যপাল জগদীপ ধনকারকে চিঠি দিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করার জন্য বলেছেন। তৃণমূল সূত্রে খবর, পুরনো এবং অতি পরিচিত লড়াইয়ের মেজাজেই রয়েছেন তিনি। শুভেন্দুবাবুর বাবা শিশির অধিকারীর সঙ্গে তাঁর নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। আপাতত জেলা সফরই তাঁর প্রাথমিক লক্ষ্য। শীর্ষ নেতাদের এখন থেকেই জেলায় জেলায় সফরে বেরনোর নির্দেশ দিয়েছেন নেত্রী। রাজনীতির যাবতীয় চ্যালেঞ্জ সামনে থেকে মোকাবিলা করতে তিনি নিজেও নেমে পড়ছেন। যাবেন দুই মেদিনীপুরেও। জানা যাচ্ছে, সম্ভবত আগামী ৭ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে তাঁর এই প্রচার কর্মসূচি। সেই লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই কৌশল তৈরি হচ্ছে। যার ক্যাচলাইন হতে চলেছে, ‘অল আউট মমতা’। আন্দোলনমুখী মমতা। কারণ, গোটা রাজ্যে তৃণমূল এবং সরকারের মুখ তিনি স্বয়ং। মানুষের কাছে যাবেন তিনি। তুলে ধরবেন তাঁর সরকারের কাজের সাফল্য। রাজ্যবাসীকে জানাবেন, বিজেপি তথা কেন্দ্রীয় সরকারের ‘ষড়যন্ত্রে’র কাহিনী। হার মানতে রাজি নন বাংলার অগ্নিকন্যা। সেটাও স্পষ্টভাবে এদিনের বৈঠকে বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি। ভোটের আগে দফায় দফায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে কুৎসা এবং নানা অভিযোগ এনে বিরোধীরা চেষ্টা করে এসেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অপদস্থ করার। গত ১০ বছরে যে প্রচেষ্টা সফল হয়নি। মানুষ তাঁর পাশে থেকেছে। আর এক দফা লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত মমতা। এবারও তাঁর বিশ্বাস, সঙ্গে থাকবে রাজ্যবাসী।