জলপথ পরিবহণ কর্মে বিশেষ শুভ। হস্তশিল্পী, হিসাব-শাস্ত্রবিদ প্রমুখের কর্মে উন্নতি ও সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
কালীঘাট মন্দিরে ঢোকার অন্যতম প্রবেশপথ কালী টেম্পল রোড। যা কার্যত নতুন করে বানানো হয়েছে। তৈরি হয়েছে পেভার ব্লক ঢাকা প্রশস্ত ফুটপাত। রাস্তার উপর দিয়ে গিয়েছে স্কাইওয়াক। কিন্তু হকারের দাপটে নতুন ফুটপাতের দেখা কার্যত মেলে না। বহু জায়গাতেই জবরদখল হয়ে গিয়েছে। রাস্তার ধারে রেলিংয়ের উপর কোথাও জামাকাপড়, কোথাও মালা কিংবা অন্যান্য সামগ্রী ঝুলিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দা অপরূপা ভট্টাচার্য বলেন, ‘স্কাইওয়াক হওয়ার পর ভেবেছিলাম জায়গাটি পরিষ্কার হবে। কিন্তু এখন দেখছি দিন দিন হকার বেড়েই চলেছে। ফুটপাতেও হাঁটা যায় না।’ শুধুই কি রাস্তার হকার, মন্দিরের বাইরে চত্বরে বসে রয়েছে ফুটপাতবাসী, ভিখারিরাও। সেখানে বালিশ, কম্বল, তোষক রাখা। সেখানে চলছে খাওয়া-দাওয়া। ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকে এঁটোকাঁটা। মন্দিরে আগত দর্শনার্থীদের কথায়, কালীঘাট মন্দির, বাইরের রাস্তাঘাট, স্কাইওয়াক সবমিলিয়ে এলাকার ভোল পাল্টে গিয়েছে। পুজো সামগ্রীর দোকানগুলি সরিয়ে নতুন করে ডালা ঘর তৈরি করা হয়েছে। মন্দিরের মূল গেটের বাইরে প্রশস্ত চাতাল। কিন্তু সেই চাতালে নোংরা-আবর্জনা পড়ে থাকলে তা দেখতে খারাপ লাগে। যেখানে-সেখানে ভিক্ষুক, ফুটপাতবাসীরা চাতাল দখল করে বসে রয়েছেন।
কাছেই রয়েছে নাইট শেল্টার। সেখানে ফুটপাতবাসীদের সরানো কেন হয় না, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। গোটা এলাকা যেভাবে সাজিয়ে তোলা হয়েছে সেখানে এই হকার এবং ভিখারিদের জন্য দৃশ্যদূষণ ঘটছে বলেও দাবি। কলকাতা পুরসভার এক আধিকারিক বলেন, ওখানে টিনের শেড বানিয়ে যে হকাররা থাকতেন, তাঁদের জন্য বহুতল হকার্স কর্নার তৈরি হয়েছে। সার্ভে হয়েছে। তার বাইরে নতুন করে আর কোনও হকার যেন না বসেন, সেটা দেখার দায়িত্ব ছিল পুলিসের। কিন্তু এখন গোটা এলাকায় নিত্যনতুন হকারের দেখা মিলছে। এই প্রসঙ্গে ৮৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার প্রবীরকুমার মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘মন্দির চত্বর, রাস্তাঘাট-নিয়মিত সাফ করা হয়। কিন্তু ফুটপাতবাসীদের পুনর্বাসন দেওয়া প্রয়োজন। হকার সমস্যাও প্রবল। সেটা প্রশাসনকে দেখতে হবে। না হলে গোটা এলাকার উন্নয়ন ব্যাহত খাচ্ছে।’ একই সঙ্গে রয়েছে পার্কিং সমস্যাও। কোনও নির্দিষ্ট পার্কিং লট না থাকায় মন্দিরের বাইরে বিভিন্ন রাস্তার ধারে গাড়ি পার্ক করা হয়। ফলে রাস্তাও অপ্রশস্ত হয়ে পড়ে। বিশেষ বিশেষ দিনে ভিড়ের চাপ থাকলে গাড়ি পার্ক করা মাথাব্যথা হয়ে ওঠে। -নিজস্ব চিত্র