জলপথ পরিবহণ কর্মে বিশেষ শুভ। হস্তশিল্পী, হিসাব-শাস্ত্রবিদ প্রমুখের কর্মে উন্নতি ও সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
ঠাকুরপুকুর থানার জৈগীর হাট এলাকার বাসিন্দা কমল। প্রতিদিন সকালে হরিদেবপুর থানা এলাকার কৈলাস ঘোষ রোডে সাফাইয়ের কাজে যায় সে। এদিনও সেখানে গিয়ে জঞ্জাল সাফাইয়ের কাজ করছিল ওই পুরকর্মী। সেখানেই এক শিশু স্থানীয় দোকানে আসে। অভিযোগ, তাকে চকোলেট খাওয়ানোর জন্য ডাকে সাফাইকর্মী। প্রথমে যেতে চায়নি শিশুটি। এরপরেই ওই দোকান থেকে চকোলেট কেনে বৃদ্ধ। তা দিয়েই প্রলোভন দেখানো হয় আট বছরের শিশুকে। দোকানের পিছনেই একটি ঝোপ রয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, চকোলেটের লোভ দেখিয়েই শিশুটিকে ওই ঝোপে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই যৌন নির্যাতন করা হয় তার।
সেই সময়েই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন সোনু নামে এক স্থানীয় যুবক। তিনিই অপকর্মে লিপ্ত ওই পুরকর্মীকে দেখতে পান। ঝোপের ভিতরেই কাঁদতে দেখা যায় ওই শিশুকে। সোনুর বক্তব্য, ‘আমি দেখতে পেয়েই সাইকেল দাঁড় করিয়ে ছুটে যাই। আমাকে দেখেই পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে ওই ব্যক্তি। আমি সাফাইকর্মীকে ধরে ফেলে এলাকার লোকজনকে ডাকি।’ হইচই শুরু হয় কৈলাস ঘোষ রোড এলাকায়। ঘটনার খবর শুনেই ছুটে আসেন শিশুটির পরিবারের সদস্যরা। তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপরেই স্থানীয় যুবকরা চড়াও হন অভিযুক্তের উপর। দড়ি দিয়ে ল্যাম্পপোস্টের সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে ফেলা হয় বৃদ্ধকে। ট্রিমার দিয়ে অর্ধেক ন্যাড়া করে দেওয়া হয় অভিযুক্তকে। কেটে দেওয়া হয় গোঁফের একাংশ। রঙের দোকান থেকে এলাকাবাসী আলকাতরা কিনে এনে কমলের মুখে লেপে দেয়।
প্রায় আধঘণ্টা ধরে চলে সেই পর্ব। এরপরেই স্থানীয় সূত্রে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় হরিদেবপুর থানার পুলিস। অভিযুক্ত বৃদ্ধকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় থানায়। দুপুরে পুরসভার সাফাইকর্মীর বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের লিখিত অভিযোগ জমা দেয় শিশুর পরিবার। শিশুর মেডিক্যাল পরীক্ষা করানোও হয়। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্ত সাফাইকর্মীকে। আদালতে পেশ করা হলে পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।