জলপথ পরিবহণ কর্মে বিশেষ শুভ। হস্তশিল্পী, হিসাব-শাস্ত্রবিদ প্রমুখের কর্মে উন্নতি ও সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
কেন্দ্রে ইউপিএ-২ সরকারের আমলে ২০০৯’এ চালু হয় ক্রাইম অ্যান্ড ক্রিমিনাল ট্র্যাকিং নেটওয়ার্ক অ্যান্ড সিস্টেমস (সিসিটিএনএস)। সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়। সিসিটিএনএস প্রকল্পে সমস্ত রাজ্যকে বলা হয়, এফআইআর আপলোড করতে। সেই সঙ্গে নিখোঁজ ব্যক্তি, পলাতক অপরাধীদের ছবি সহ তথ্য তাতে দিতে বলা হয়েছিল। এনসিআরবির নিয়ন্ত্রণে থাকা এই প্রকল্পে সংশ্লিষ্ট অন্য বিভাগগুলি যুক্ত না থাকায়, কেসের স্ট্যাটাস জানার ক্ষেত্রে বিস্তর কাঠখড় পোড়াতে হতো। তথ্য আদানপ্রদান যাতে একটি নির্দিষ্ট প্ল্যাটফর্ম থেকে হয়, তাই সুপ্রিম কোর্টের ই-কমিটি আইসিজিএস চালুর নির্দেশ দেয় কেন্দ্রকে। সেইমতো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ২০২২-২৩ থেকে ২০২৫-২৬র মধ্যে এই প্রকল্পের জন্য ৩৩৭৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করে। রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে এই প্রকল্পের টাকা দিল্লি সমস্ত রাজ্যকে দেবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। সূত্রের খবর, অন্য রাজ্যগুলিকে টাকা পাঠানো হলেও কোনও এক অজ্ঞাতকারণে মোদি সরকার এরজন্য পশ্চিমবঙ্গ টাকা পাঠায়নি। চলতি ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতেই ৪০ কোটি টাকা পাঠানো হয়েছে কাজ শুরু করার জন্য।
রাজ্য পুলিস সূত্রে খবর, আসলে ডেটা আদানপ্রদানের ক্ষেত্রে এতদিন ই-মেল চালাচালি বা চিঠি পাঠানো হতো। কিন্তু তথ্য আসতে অনেক সময় লেগে যেত। আবার অনেক রাজ্য বিভিন্ন কারণে তথ্য শেয়ার করতে চাইত না। এমনকী ভুল তথ্যও এসেছে ভিন রাজ্য থেকে, এমন নজিরও রয়েছে। বিশেষত জেল ও আদালতের ক্ষেত্রে এই সমস্যা বেশি ছিল। তদন্তকারী অফিসার অন্য রাজ্যের জেলবন্দির বর্তমান অবস্থা কী বা আদালতে বিচারপর্ব চলছে কি না, জানতে চাইলে বছর ঘুরে গেলেও তা এসে পৌঁছত না। যে কারণে সংশ্লিষ্ট অভিযুক্তের বিরুদ্ধে থাকা মামলার তদন্ত ঝুলেই থাকত বছরের পর বছর। এমনকী ফরেন্সিক পরীক্ষার রিপোর্টও পাওয়া যেত না। নতুন এই ডিজিটালাইজড ব্যবস্থায় পাঁচটি বিভাগ এক ছাতার তলায় থাকবে। কোনও একটি এজেন্সি ডেটা আপলোড করলে অন্যরা দেখে নিতে পারবে। পেপারলেস এই ব্যবস্থায় কারও উপর ভরসা করতে হবে না। সমস্ত রাজ্যকেই তথ্য বাধ্যতামূলকভাবে আপলোড করতে হবে। সর্বোপরি এই তথ্য তুলনামূলক বিশ্লেষণ করে দেখে নেওয়া যাবে, ঠিক কোনও ধরনের অপরাধ বাড়ছে। তার ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারবেন পুলিসের শীর্ষ কর্তারা।