সংবাদদাতা, কাকদ্বীপ: মাঘী পূর্ণিমায় কুম্ভমেলায় যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল কলকাতার মুকুন্দপুরের দাস পরিবারের। সব প্রস্তুতি হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু মৌনী অমাবস্যার দুর্ঘটনার পর সব পরিকল্পনা থমকে যায়। তারপর পরিবারের সবাই সিদ্ধান্ত নেন এ বছর গঙ্গাসাগরে গিয়ে পুণ্যস্নান করবেন। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মঙ্গলবার রাতে গঙ্গাসাগরে এসেছেন পরিবারের ১২ সদস্য। বুধবার ভোরে পুণ্যস্নান করেন। সমুদ্রতটে পুজোও দেন। মৌনী অমাবস্যার রাতে কুম্ভতে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনার ছবি এখনও তাঁরা ভোলেননি। সারি দিয়ে রাখা পুণ্যার্থীদের মৃতদেহের ছবি দেখেছিলেন সংবাদমাধ্যমে। সে আতঙ্ক মনে বসে গিয়েছিল। কিন্তু গঙ্গাসাগরে এসে পুণ্যস্নান শেষে নিশ্চিন্ত হয়েছেন। ওই পরিবারের একে দাস বলেন, ‘কুম্ভমেলায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। কিন্তু দুর্ঘটনার পর সবাই ভয় পেয়ে যাই। এরপর গঙ্গাসাগরে আসার সিদ্ধান্ত হয়। সুন্দরভাবে স্নান করেছি গঙ্গাসাগরে। কোনও সমস্যাই হয়নি। সরকারি ব্যবস্থাপনা খুব ভালো।’
বুধবার ভোর থেকেই গঙ্গাসাগরে মাঘী পূর্ণিমার পূণ্যস্নান উপলক্ষ্যে লক্ষাধিক পুণ্যার্থী জড়ো হন। কপিল মুনির মন্দিরে পুজো দেওয়ার জন্যও লম্বা লাইন পড়ে। এবারের মাঘী পূর্ণিমার ভিড় সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে বলে অনুমান প্রশাসনের। মঙ্গলবার সকাল থেকেই গঙ্গাসাগরে যাওয়ার জন্য বিপুল ভিড়। অনেকে বাধ্য হয়ে গাড়ি পারাপার করার এলসিটিতে মুড়িগঙ্গা নদীর ওপারে কচুবেড়িয়া পৌঁছন। বুধবারও ভেসেলের পাশাপাশি যাত্রীদের পারাপার করার জন্য মুড়িগঙ্গায় এলসিটি চালাতে হয়। দখিনা বাতাস থাকায় এদিন ঠান্ডা কম ছিল বলে বক্তব্য পুণ্যার্থীদের।