জলপথ পরিবহণ কর্মে বিশেষ শুভ। হস্তশিল্পী, হিসাব-শাস্ত্রবিদ প্রমুখের কর্মে উন্নতি ও সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
পূর্ণকুম্ভে স্নান করতে গিয়ে যে প্রৌঢ়ার মৃত্যু হয়েছে, তাঁর বাড়ি ভাটপাড়ার নারায়ণপুর। নাম বাবলি মুহুরী। বছর পঞ্চান্নর বাবলিদেবী তাঁর স্বামী তপন মুহুরীর সঙ্গে টুরিস্ট বাসে প্রয়াগরাজে গিয়েছিলেন। বুধবার ভোরে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তিনি সঙ্গমে স্নান করতে যান। কিন্তু ডুব দিয়ে জল থেকে উঠতে পারেননি। বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের কর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে, চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
মৃতার ছেলে প্রীতম ভাটপাড়া থানায় যোগাযোগ করে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন। প্রীতমবাবু বলেন, বাবা-মা বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন ১০ তারিখে। বুধবার ভোরবেলা প্রয়াগরাজে পৌঁছন। সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ মায়ের মৃত্যু সংবাদ জানলাম।
প্রয়াগরাজ থেকে স্নান সেরে বাড়ি ফেরার পথে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে দেগঙ্গার দুই গৃহবধূর। জখম হয়েছেন আরও ছ’জন। আহতদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা সঙ্কটজনক। বিহারের সাসারাম এলাকায় পুণ্যার্থীদের পিক আপ ভ্যানের টায়ার ফেটে পাথর বোঝাই গাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। তাতে দুই পুণ্যার্থীর মৃত্যু হয়েছে। মৃতেরা হলেন, জিতু দাস (৩৮) ও লক্ষ্মী চক্রবর্তী (৪৮)। বুধবার সকালে দুর্ঘটনার খবর পৌঁছয় দেগঙ্গার আমুলিয়ার কলাপোল গ্রামে। সেখান থেকে আটজন পুণ্যার্থীর দল একটি পিক আপ ভ্যানে প্রয়াগরাজের উদ্দেশে রওনা হয়েছিল গত শনিবার। তাঁদের ফেরার পথে ঘটে দুর্ঘটনা।
এছাড়া, মহাকুম্ভে যাওয়ার পথে বিহারে বাইক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে হাওড়ার বেলগাছিয়ার এক যুবকের। অন্য এক যুবকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। মৃতের নাম বুবাই মাইতি (২৫)। তাঁর বাড়ি বেলগাছিয়ার স্বামীজি নগরে। রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থায় অস্থায়ী কর্মী ছিলেন তিনি। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার বুবাই তাঁর পরিচিত এক ব্যক্তির সঙ্গে মাঘী পূর্ণিমা উপলক্ষ্যে স্নান করবেন বলে বাইকে চেপে প্রয়াগরাজের উদ্দেশে রওনা হন। মঙ্গলবার ভোররাতে বিহারের ঔরঙ্গাবাদে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাঁদের বাইকটি একটি ট্রাকের পিছনে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় যুবকের।