সন্তানের স্বাস্থ্যহানির কারণে মানসিক অস্থিরতা ও উদ্বেগ। পরীক্ষায় মনোমতো ফললাভ ও নামী প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ। ... বিশদ
ঘটনাস্থল কলকাতা বইমেলা। গেটের মুখে এবার চলছে সিগারেট, বিড়ি, লাইটার, দেশলাই খোঁজার ‘তল্লাশি’। ঢোকার মুখে পুলিস এবং নিরাপত্তাকর্মীরা বেশিরভাগ মানুষকেই জিজ্ঞাসা করছেন, ‘সিগারেট, দেশলাই, লাইটার নেই তো?’ তাতেই চাপে পড়ে যাচ্ছেন স্মোকাররা। অনেকে বলছেন, ‘এবার বইমেলায় সিগারেট খেতে পাব না? আমরা খাব না সিগারেট?’ তবে পুলিসের পক্ষ থেকে আগুন নিয়ে সতর্ক করা হলেও মেলার ভিতর যে সিগারেট, লাইটার নিয়ে ঢুকছেন না কেউ এমন কিন্তু নয়। ব্যাগের ভিতর লুকিয়ে নিয়ে দিব্যি ঢুকে পড়ছেন অনেকে। কিন্তু খাচ্ছেন কোথায়? সব গেটে অবশ্য চেক হচ্ছে না।
লিটল ম্যাগাজিন ছাড়িয়ে প্রেস কর্নারের দিকে এগলেই পড়বে শৌচালয়। তার সামনে গিয়ে দেখা গিয়েছে, সুখটানের নিরাপদ জায়গা সেটি। লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে সকলে সিগারেট টানছেন। গল্প করতে করতে উড়িয়ে দিচ্ছেন সাদা ধোঁয়া। যেন চিমনি দিয়ে ধোঁয়া বেরচ্ছে। পাশেই স্টলের ছড়াছড়ি। তাঁদের সকলেই দেখতে পাচ্ছেন। এক সিগারেটপ্রেমী বলেন, ‘দ্বিতীয় দিন এসে ধরা পড়ে গিয়েছিলাম। আজ লুকিয়ে এনেছি।’ ‘কিন্তু বাইরে না খেয়ে ভিতরে আগুন জ্বালাচ্ছেন কেন?’ তাঁর উত্তর, ‘কষ্ট করে আবার বাইরে কে বেরবে? তাই বাথরুমই আমাদের ঠিকানা।’ মেলা প্রাঙ্গণের বাইরে বাস স্ট্যান্ডেও সিগারেটে টান দিচ্ছেন এক ঝাঁক তরুণ-তরুণী। তাঁরা বলেন, ‘সিগারেট স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। তবুও খাই। মেলায় এসে একটু সিগারেট না খেলে ঠিক জমে না। তাছাড়া বই ও লেখালেখির সঙ্গে সিগারেটের সম্পর্কও রয়েছে। তবে মেলার ভিতরে নয়। এই দেখুন, বাইরে টানছি। ভিতরে আগুন নিয়ে খেলব না।’