সন্তানের স্বাস্থ্যহানির কারণে মানসিক অস্থিরতা ও উদ্বেগ। পরীক্ষায় মনোমতো ফললাভ ও নামী প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ। ... বিশদ
বিষ্ণু চৌধুরী নামে কলকাতার এক বাসিন্দা হাইকোর্টে অভিযোগ করেন, সিএপিএফ’এ নিয়োগের ক্ষেত্রে বড়সড় কেলেঙ্কারি হয়েছে। এমনকী পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই’এর এজেন্ট নিয়োগ হয়েছে আধা সেনাতে। ভুয়ো ডোমিসাইল সার্টিফিকেট, শিক্ষাগত যোগ্যতার নকল মার্কশিট জমা পড়েছে। বিদেশি নাগরিকদের এগুলি জোগাড় করে দেওয়া হয়েছে। এই নথি জমা দিয়ে তারা চাকরি করছে আধা সেনায়। হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়।
কেস রুজু করে সিবিআই জানতে পারে, এই জাল নথি তৈরির মূল মাথা সেনাকর্মী মহেশ। সীমান্ত এলাকায় তার একাধিক এজেন্ট রয়েছে। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশিরা। এমনকী বাংলাদেশে থাকা পাক আইএসআই অফিসাররাও যোগাযোগ রাখছে। বাংলাদেশ-পাক নাগরিকদের কয়েকজনকে ভোটার, আধার ও শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট করে দিয়েছে অভিযুক্ত সেনাকর্মী। বাংলার বাসিন্দা প্রমাণ করার জন্য ডোমিসাইল সার্টিফিকেটও তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে চাকরি পাওয়ার জন্য ভিন রাজ্যের নাগরিকরাও ডোমিসাইল সার্টিফিকেট কিনেছে ওই সেনাকর্মীর কাছ থেকে। এরজন্য ১০ থেকে ২০ লক্ষ টাকা তিনি নিয়েছেন বলে অভিযোগ। জাল নথি তৈরির জন্য বাড়িতে কারখানা খুলেছিল এই জওয়ান। এই নকল সার্টিফিকেট এজেন্টদের মাধ্যমে পাঠাত মহেশ। তার বিরুদ্ধে তথ্য মেলার পরই গ্রেপ্তার করা হয়। যদিও তার সঙ্গী রাজু গুপ্ত পলাতক। মহেশ জেরায় জানিয়েছে, বছর পাঁচেক ধরে সে এই জাল নথি তৈরি করে বিক্রি করছে। তার মাধ্যমে একটা বড় সংখ্যক যুবক আধা সেনায় চাকরি পেয়েছে। সংশ্লিষ্টদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে। পাশাপাশি আধা সেনায় কোন কোন আইএসআই এজেন্ট রয়েছে, তাদের নাম জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।