সন্তানের স্বাস্থ্যহানির কারণে মানসিক অস্থিরতা ও উদ্বেগ। পরীক্ষায় মনোমতো ফললাভ ও নামী প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ। ... বিশদ
ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ আবার এর মধ্যে বিদেশি ওষুধ কোম্পানিগুলির অত্যন্ত দামি ওষুধগুলির জন্য ভারতের মতো ১৪০ কোটির দেশে বড় বাজার খুলে দেওয়ার গন্ধ পাচ্ছেন। ওষুধের পাইকারি দোকানদাররাও জানাচ্ছেন, যেসব ওষুধের আমদানি শুল্কে ছাড় দেওয়া হয়েছে, সেগুলি কেনার ক্ষমতা মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত মানুষের ছিল না। ছাড় পাওয়ার পরও কতটা থাকবে, সন্দেহ। বিশিষ্ট ক্যান্সার চিকিৎসক ডাঃ সুবীর গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ক্যান্সার রোগীদের রোজকার কেমোথেরাপির ওষুধ তো প্রায় দেখতেই পেলাম না তালিকায়। সিংহভাগই টার্গেটেড থেরাপি ও ইমিউনোথেরাপির ওষুধ, যা সাধারণের আয়ত্তের বাইরে। তার ব্যবহারও হয় সীমিত ক্ষেত্রে। গতবারের বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী দেশের মা-মেয়েদের বিনামূল্যে সার্ভাইক্যাল ক্যান্সারের টিকা দেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন। বছর ঘুরল, কোথায় সেই টিকাকরণ? বিশিষ্ট অঙ্কোসার্জেন ডাঃ সৌরভ দত্ত ও অঙ্কোমেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ সুদীপ দাস বলেন, বছরে ভারতে ১৮-২০ লক্ষ মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। এইসব শুল্ক ছাড় দেওয়া ওষুধ তাঁদের মধ্যে গুটিকতক মানুষ ব্যবহার করেন। আরও এক ক্যান্সার চিকিৎসক ডাঃ শ্রীকৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর তালিকায় ৫ শতাংশও ক্যান্সার মেডিসিনই রোজকার কেমোথেরাপিতে প্রয়োজন হয় না। কোটিপতি হলে তবেই অন্তিম পর্যায়ের ক্যান্সার রোগীদের পরীক্ষামূলক থেরাপি হিসেবে দেওয়া সম্ভব। কিন্তু উল্কার গতিতে বেড়ে চলা প্রধান ক্যান্সারগুলির নিরাময় বা চিকিৎসার সঙ্গে এই তালিকার ৯০-৯৫ শতাংশ ওষুধের সম্পর্কই নেই।