সন্তানের স্বাস্থ্যহানির কারণে মানসিক অস্থিরতা ও উদ্বেগ। পরীক্ষায় মনোমতো ফললাভ ও নামী প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ। ... বিশদ
তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনার পর শনিবার নৈহাটি কার্যত থমথমে রয়েছে। পুলিস টহলদারি চলছে। শুক্রবার রাতে গৌরিপুর এলাকায় একাধিক বাড়ি, দোকানে তাণ্ডব চলে। বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর করার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ ওঠে। ‘সিং ভবন’ নামে একটি অনুষ্ঠান বাড়িতে গত লোকসভা ভোটে বিজেপির নির্বাচনী কার্যালয় ছিল, সেই বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। সমস্ত আসবাবপত্র ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভাঙচুরের প্রতিবাদে এদিন পুলিস কমিশনারের অফিসে ডেপুটেশন দেয় বিজেপি নেতৃত্ব। যদিও খুনের অভিযোগে অক্ষয় গোন্দ নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সে মূল অভিযুক্ত রাজেশ সাউ ওরফে ঘাউরা রাজেশের আত্মীয় বলে পরিচিত। ঘাউরা রাজেশ এখনও বেপাত্তা।
নিহত সন্তোষ যাদবের এদিন ময়না তদন্ত হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ পার্থ ভৌমিক, স্থানীয় বিধায়ক সনৎ দে সহ তৃণমূল নেতারা। পার্থবাবু বলেন, এই খুনের সঙ্গে জড়িত অর্জুন সিংয়ের অনুগামীরা। আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি বুধবার নদীয়া জুটমিল থেকে গৌরীপুর পর্যন্ত মিছিল করে প্রতিবাদ সভা হবে। হামলা প্রসঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক সনৎ দে বলেন, অর্জুনের বাহিনী সন্তোষকে গুলি চালিয়ে, ইট দিয়ে থেঁতলে খুন করেছে। মানুষ ক্ষুব্ধ। তবে কোনও বিজেপির কর্মীর বাড়িতে হামলা চালানো হয়নি। ময়নাতদন্ত শেষে এদিন সন্ধ্যায় সন্তোষের মৃতদেহ বাড়িতে নিয়ে এলে কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। মরদেহ পার্টি অফিসে ঘুরিয়ে পরে সৎকার করা হয়। এদিন এক সাংবাদিক সম্মেলনে অর্জুন সিং বলেন, নৈহাটি কলেজের কর্মী অজয় প্রসাদকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছিল। সেই খুনের সঙ্গে যুক্ত ছিল নিহত এই তৃণমূল কর্মী। সেদিন যখন সে ছাড়া পেয়ে বাড়ি গিয়েছিল, তখন এলাকার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে তার ওপরে চড়াও হয়েছিল। কিন্তু, পুলিস তাকে বাঁচিয়ে দিয়েছিল। স্পষ্ট করে বলছি, তখন যদি পুলিসকে সঠিক কাজ করতে দিত, তাহলে এই ঘটনাটা ঘটত না।