সন্তানের স্বাস্থ্যহানির কারণে মানসিক অস্থিরতা ও উদ্বেগ। পরীক্ষায় মনোমতো ফললাভ ও নামী প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ। ... বিশদ
কর ছাড়ে মধ্যবিত্তের আদতে কোনও লাভ হবে না বলেও মনে করছেন তিনি। তাঁর মতে, ‘নতুন কর কাঠামোয় বার্ষিক ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় যাঁদের, তাঁদের কর দিতে হবে না। কিন্তু মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের জন্য কিছুই করা হয়নি এই বাজেটে। মাত্র আট কোটি মানুষ ট্যাক্স দেন। নতুন কর কাঠামোয় এঁদের যে সামান্য লাভ হবে, তা মূল্যবৃদ্ধি খেয়ে নেবে।’ বরং এর ফলে দেশের আর্থিক অবস্থা আরও দুর্বল হবে বলে মনে করেন তিনি। কারণ, কেন্দ্রকে আরও ১৫ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ নিতে হবে। কেন্দ্র কোন কায়দায় মানুষকে বোকা বানাচ্ছে, পরিসংখ্যান তুলে ধরে অমিতবাবু তা বুঝিয়ে দেন। তাঁর কথায়, ‘খুঁটিয়ে দেখলে বোঝা যাবে, সামাজিক পরিষেবা খাতে ১৬ শতাংশ বাজেট ছেঁটে দেওয়া হয়েছে। গৃহ নির্মাণে ছাঁটা হয়েছে ৪.৩৮ শতাংশ, তফসিলি জাতি ও উপজাতি উন্নয়নে তিন শতাংশ এবং খাদ্য ভর্তুকিতে এক শতাংশ।’ এছাড়াও মোদির সরকার যুবসমাজ, কৃষি এবং নারী উন্নয়ন খাতে কিছুই করেনি বলে তাঁর দাবি। কেন্দ্রের সমালোচনা করে অমিতবাবু বলেন, ‘বর্তমানে কর্মসংস্থানের হার ৪৬ শতাংশ। এর মধ্যে স্নাতকের সংখ্যা প্রায় ৩০ শতাংশ। শুধু মাত্র অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে বেকার হয়েছেন ৩ কোটি ৭০ লক্ষ জন। এই সমস্যার সমাধানে কোনও দিশাই দেখানো হয়নি এই বাজেটে।’ বিমায় ১০০ শতাংশ এফডিআই’র অনুমতি দেওয়ার সমালোচনা করে অমিতবাবু জানান, ভারতীয় জীবন বিমা নিগম ছাড়াও দেশের প্রাইভেট বিমা সংস্থাগুলির জন্য এটি বড় চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে। আবার বিমার উপর জিএসটি তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তও অকারণে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটাই সব থেকে বড় চক্রান্ত। অমিতবাবুর মতে, এর ফলে কারা লাভবান হবে, সেটা সাধারণ মানুষ ঠিকই বুঝতে পারবেন। জিডিপিতে উৎপাদন ক্ষেত্রের শেয়ার ২৫ শতাংশে নিয়ে যাওয়ার যে প্রতিশ্রুতি, তা পূরণের জন্যেও কিছু করা হয়নি বলে জানিয়েছেন রাজ্য সরকারের আর্থিক উপদেষ্টা।