সন্তানের স্বাস্থ্যহানির কারণে মানসিক অস্থিরতা ও উদ্বেগ। পরীক্ষায় মনোমতো ফললাভ ও নামী প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ। ... বিশদ
বাবা ও মায়ের সঙ্গেই থাকতেন একমাত্র ছেলে আশিস। তিনি সেভাবে কোনও কাজ করতেন না। বরং হেরোইনের নেশায় আসক্ত ছিলেন। বাবা অমল বিশ্বাস শারীরিক প্রতিবন্ধী। ঠিক করে কথা বলতে পারেন না। রাজমিস্ত্রির জোগাড়ের কাজ করতেন। তবে তিনিও নিয়মিত মদ ও গাঁজার নেশা করতেন বলে স্থানীয়দের দাবি। মা দিপালী বিশ্বাস বিড়িশ্রমিক। অভিযোগ, নেশার টাকার জন্য প্রায়ই বাবা-মায়ের সঙ্গে ঝামেলা হতো ছেলের। টাকা না দিলে বাবাকে মারধর করতেন তিনি। শুক্রবার দুপুরেও বাবার সঙ্গে ছেলের ঝামেলা হয়। এরপর সন্ধ্যায় ঘরে শুয়েছিলেন আশিস। বাবা মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি এসে ঘুমন্ত ছেলেকে ইট দিয়ে মাথায় একের পর এক আঘাত করতে থাকেন। রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয়রা তাঁকে বনগাঁ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কিছুক্ষণ পর তাঁর মৃত্যু হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আশিস সারাদিন হেরোইনের নেশায় বুঁদ হয়ে ঘুরে বেড়াতেন। কিছুদিন আগে নেশার টাকা জোগাড় করতে ছিনতাইয়ের চেষ্টাও করেন। তাছাড়া মাঝেমধ্যেই বাবাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দিতেন। এদিকে, বিষয়টি নিয়ে পুলিসকে দায়ী করেছে বিজেপি। তাদের দাবি গাঁজা, হেরোইনের কারবার বনগাঁয় কুটিরশিল্প হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই মাদকের কারবার বন্ধ করতে এলাকার বাসিন্দারা থানায় ডেপুটেশনও দিয়েছিলেন। পুলিস পদক্ষেপ করলে এই ঘটনা ঘটত না।