সন্তানের স্বাস্থ্যহানির কারণে মানসিক অস্থিরতা ও উদ্বেগ। পরীক্ষায় মনোমতো ফললাভ ও নামী প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ। ... বিশদ
যদিও তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, ২০২৫-২৬ আর্থিক বছরের বাজেটে রেলের সার্বিক অর্থ বরাদ্দের পরিমাণও একই আছে। বরাদ্দের পরিমাণ ২ লক্ষ ৫২ হাজার কোটি টাকা। এরই পাশাপাশি রেল বোর্ডের আশঙ্কাকে সত্যি প্রমাণ করে বেড়ে গিয়েছে ‘অপারেটিং রেশিও’। অর্থাৎ, ১০০ টাকা আয় করতে রেলের খরচের পরিমণে বেড়েছে। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে প্রতি ১০০ টাকা আয় করতে ৯৮ টাকা ৪৪ পয়সা খরচ করতে হবে রেলকে। এই খরচের পরিমাণ গতবারের তুলনায় ২২ পয়সা বেশি। রেল লাইনের নবীকরণ এবং বৈদ্যুতিকরণ খাতে গতবারের তুলনায় ২০২৫-২৬ আর্থিক বছরে বরাদ্দের পরিমাণ নামমাত্রই বৃদ্ধি করা হয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, ‘রোলিং স্টক’ খাতে অর্থ বরাদ্দের পরিমাণ এক ধাক্কায় অনেকটাই কমিয়ে দেওয়া হয়েছে এবারের বাজেটে। অর্থাৎ, কোচ উৎপাদনের ক্ষেত্রে টাকা কম দেওয়া হয়েছে। ৪৬ হাজার ২৫১ কোটি ৭০ লক্ষ থেকে কমিয়ে বরাদ্দের পরিমাণ নির্ধারিত হয়েছে ৪৫ হাজার ৫৩০ কোটি ১৫ লক্ষ টাকা।
যে বুলেট ট্রেন নিয়ে এত মাতামাতি, তার বাস্তবায়নকারী সংস্থা ন্যাশনাল হাইস্পিড রেল কর্পোরেশন লিমিটেডের জন্যও বাজেট বরাদ্দের পরিমাণ একই রেখে দেওয়া হয়েছে। পণ্যবাহী রেল করিডর খাতে বাজেট বরাদ্দের পরিমাণ প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা কমানো হয়েছে। শনিবার বাজেট ঘোষণায় সীতারামন জানিয়েছেন, ইনফ্রাস্ট্রাকচার সংক্রান্ত মন্ত্রকগুলিকে পরবর্তী তিন বছরের প্রকল্প তালিকা তৈরি করতে হবে। এর মধ্যে রেলমন্ত্রকও থাকছে। সাবার্বান এবং নন-সাবার্বান ট্রেন চলাচলে যাত্রী রাজস্ব আদায়ের ‘বাজেট’ বাড়ানো হয়েছে ২০২৫-২৬ আর্থিক বছরে। ট্রেনের এসি ফার্স্ট ক্লাস, সেকেন্ড ক্লাস, থ্রি টিয়ার এসি, স্লিপার ক্লাস, চেয়ার কার সহ সমস্ত ক্ষেত্রেই যাত্রী রাজস্ব আদায়ের ‘বাজেট’ বৃদ্ধি পেয়েছে ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে। রেল বোর্ডের বাজেট ডকুমেন্টেই তা স্পষ্ট। রেলের যাত্রী ভাড়া বৃদ্ধি কি তাহলে সময়ের অপেক্ষা?