মনোরম স্থানে সপরিবারে ভ্রমণ ও আনন্দ উপভোগ। সম্পত্তি সংরক্ষণে সচেষ্ট না হলে পরে ঝামেলায় পড়তে ... বিশদ
মঙ্গলবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে মামলাকারী বিষ্ণু চৌধুরীর অভিযোগ, ‘সিবিআই তদন্তকারী দলের ইনসপেক্টর পদমর্যাদার আধিকারিক ইমরান এই মামলায় মূল অভিযুক্ত মহেশ চৌধুরীর কাছ থেকে তিন লক্ষ টাকা ঘুষ নিয়ে মামলাটি লঘু করে দেখাতে চাইছেন।’ এই মহেশ চৌধুরীই ভুয়ো ডোমিসাইল সার্টিফিকেট তৈরি করে ভারতীয় সেনায় পাক গুপ্তচর নিয়োগ করত বলে অভিযোগ বিষ্ণুর। এজলাসে মামলাকারীর আরও অভিযোগ, এই চক্রের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলায় তাঁকে প্রতিনিয়ত প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। যেকোনও দিন তিনি খুন হয়ে যেতে পারেন। মামলাকারীর যাবতীয় অভিযোগ শোনার পর আপাতত সিবিআইকে তদন্তের অগ্রগতি সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি ঘোষের সিঙ্গল বেঞ্চ। সেইসঙ্গে হুগলির মগরা থানাকে মামলাকারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ২১ ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি।
ঘটনা হল, হুগলির ত্রিবেণীর মগরা থানা এলাকার বাসিন্দা বিষ্ণু চৌধুরীর অভিযোগ ছিল, ভারতীয় সেনায় একটি বড়সড় চক্র কাজ করছে। চক্রের কাজ হল, নাগরিকত্ব সহ যাবতীয় নথি জাল করে পাকিস্তানি নাগরিকদের ভারতীয় সেনায় চাকরি পাইয়ে দেওয়া। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ২০২৩ সালে প্রথমে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা। সেই অনুযায়ী তদন্ত করে পরে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে রিপোর্ট দিয়ে মামলাকারীর অভিযোগে সিলমোহর দেয় সিবিআই। রিপোর্টে তারা জানায়, আধাসেনায় জাল নিয়োগের একাধিক প্রমাণ মিলেছে। অন্তত চার জনের বেআইনি নিয়োগের তথ্য হাতে এসেছে। সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে তো বটেই আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও এই অভিযোগের গুরুত্ব রয়েছে। জাল নথি দিয়ে উত্তর পূর্ব ভারত সহ অন্য রাজ্য থেকে অনেকেই চাকরি পেয়েছেন বলে তথ্য সামনে আসছে। ইতিমধ্যেই উত্তর ২৪ পরগনা থেকে বেশ কিছু নথি পাওয়া গিয়েছে। বেশ কিছু সরকারি অফিসার এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত। শুধু এই রাজ্য নয়, প্রতিবেশী রাজ্যের সীমান্ত এলাকাতেও নথি জাল হয়েছে। তাই অন্য দেশের নাগরিকের বাহিনীতে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। যে কারণে ইন্টারপোলের সাহায্য দরকার হতে পারে। ওই রিপোর্ট পাওয়ার পরই এফআইআর দায়ের করে সিবিআইকে দ্রুত তদন্ত শুরুর নির্দেশ দেন বিচারপতি সেনগুপ্ত। সেই মামলায় ঘুষ খেয়ে খাটো করার অভিযোগ করেছেন বিষ্ণু। আপাতত এই মামলার তদন্তের দায়িত্বে রয়েছেন সিবিআই আধিকারিক প্রদীপ ত্রিপাঠী। আপাতত মামলাকারীকে তাঁর কাছে এই মামলার সব নথি জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি ঘোষ।