সন্তানের স্বাস্থ্যহানির জন্য মানসিক অস্থিরতা ও উদ্বেগ। ক্রমোন্নতি ও প্রশাসনিক ক্ষমতা ও দায়িত্ব বৃদ্ধি। বিদ্যায় ... বিশদ
১০ ডিসেম্বর পূর্ব মেদিনীপুর সফরের আগে মুখ্যমন্ত্রী ড্রেনেজ ক্যানাল রোডের নাম পরিবর্তন করে ফুটবলার শৈলেন মান্নার নামে সেই রাস্তার নামকরণ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। দু’দিন পর সফর থেকে ফিরে শৈলেন মান্না সরণির উদ্বোধন করেন। পাশাপাশি জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেন, রাস্তার পাশের অংশটির সৌন্দর্যায়ন করে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর স্টল, ট্রাম লাইব্রেরি, আধুনিক মানের রেস্তরাঁ ও শিশুদের জন্য গেমিং জোন তৈরি করার। এরপর পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য পিডব্লুডি সহ একাধিক দপ্তরের সঙ্গে বৈঠকে বসে জেলা প্রশাসন ও হাওড়া পুরসভা। কিন্তু বাস্তবে দেখা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের এক মাসেরও বেশি কেটেছে কিন্তু কাজে গতি আসেনি। ডুমুরজোলা স্টেডিয়ামের বিপরীত লেনে ইছাপুরের দিকে যাওয়ার রাস্তা বরাবর ফাঁকা অংশের কিছু অংশ পরিষ্কার হয়েছে শুধু। এবং শৈলেন মান্নার নামাঙ্কিত সাইনবোর্ড বসেছে। এ ছাড়া আর কোনও কাজ হয়নি। পাশাপাশি হেলিপ্যাড যাওয়ার রাস্তা ও ফুটপাতের একাংশ ভেঙে এখনও বেহাল হয়ে পড়ে রয়েছে। সোমবার শৈলেন মান্না সরণির ছবি দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। জেলাশাসককে ডেকে নির্দেশ দেন, রাস্তার পাশে বড় সাইনবোর্ড বসাতে হবে, যাতে প্রয়াত ফুটবলার শৈলেন মান্নার নাম সবাই দেখতে পান। পাশাপাশি গোটা এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। সৌন্দর্যায়নের কাজও দ্রুত শেষ করতে হবে।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর এদিন দুপুরে শৈলেন মান্না সরণির বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন হাওড়া পুরসভার মুখ্য প্রশাসক সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই পিডব্লুডি’র তরফে সুফল বাংলা ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর জন্য স্থায়ী স্টল তৈরি হচ্ছে। সৌন্দর্যায়নের কাজও শুরু করবে পুরসভা। বসানো হবে সবুজ ঘাসের গালিচা। রাখা হবে ভাস্কর্য। থাকবে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের মডেল। শৈলেন মান্না সরণিতে বসানো হবে পাম গাছ। মুখ্য প্রশাসক বলেন, ‘আইনি জটিলতার কারণে দু’টি ট্রাম আনতে দেরি হচ্ছে। জটিলতা মিটলেই ট্রাম এনে লাইব্রেরি তৈরি হবে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশমতো যত দ্রুত সম্ভব কাজ শেষ করা হবে।’ -নিজস্ব চিত্র