সন্তানের স্বাস্থ্যহানির জন্য মানসিক অস্থিরতা ও উদ্বেগ। ক্রমোন্নতি ও প্রশাসনিক ক্ষমতা ও দায়িত্ব বৃদ্ধি। বিদ্যায় ... বিশদ
দুপুর ২টো বেজে ৪৯ মিনিট। ‘দোষী সঞ্জয় রায়কে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হল’... সাজা শোনালেন বিচারক অনির্বাণ দাস। তৎক্ষণাৎ বিষণ্ণতা নেমে এলে এতক্ষণের আশা জ্বলজ্বলে দু’টি মুখে। নির্দিষ্ট সময়ে শেষ হল এজলাস। শব্দহারা বাবা-মা বসে রইলেন বিচারকের চেয়ারের দিকে চেয়ে, আরও প্রায় আধঘণ্টা। তারপর হতাশা, বেদনা ক্লিষ্ট শরীরটাকে কোনওক্রমে টানতে টানতে বেরিয়ে এলেন। আদালত চত্বরের বাইরে তখনও ভিড়। আন্দোলনকারী, সমব্যথী মানুষ, সাংবাদিকদের সেই ভিড়ের মুখোমুখি হয়ে চেপে রাখা কান্না বেরিয়ে এল বারুদের মতো। গর্জে উঠলেন অভয়ার মা, ‘আমার মেয়েটা বিচার পেল না! সিবিআইয়ের ব্যর্থতায় ন্যায়বিচার পেলাম না। ফাঁসি হওয়া উচিত ছিল। আর কিছু বলার নেই।’
নির্যাতিতার বাবা-মায়ের অভিযোগ স্পষ্ট, সিবিআই তদন্তে একাধিক জায়গায় ফাঁক রয়েছে। তার জন্যই বিচারপ্রক্রিয়ায় সর্বোচ্চ সাজা হল না দোষীর। সঞ্জয়ের ফাঁসি না হওয়ার নেপথ্যে সরাসরি দায়ী এক এবং একমাত্র কেন্দ্রীয় এজেন্সি। এর আগেও শুনানি চলাকালীন সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে একাধিকবার তোপ দেগেছেন অভয়ার বাবা। তাঁর সাফ অভিযোগ ছিল, ‘সিবিআই আমাদের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ রাখেনি। চার্জশিট দেওয়ার সময়েও আমাদেরকে জানানো হয়নি।’ অবিশ্বাস এপর্যায়ে পৌঁছয় যে আলাদা আইনজীবী নেওয়ার পথেও হাঁটেন তাঁরা। নির্যাতিতার পরিবার স্পষ্ট জানায়, ‘সিবিআইয়ের উপর আমাদের ভরসা নেই। আলাদাভাবে আইনজীবীদের সহায়তা নেওয়ার কথা ভাবনাচিন্তা করছি আমরা।’ সেই আশঙ্কাই কি এদিন সত্যি হল? কেন্দ্রীয় এজেন্সির তদন্তপ্রক্রিয়ায় বাস্তবিকই রয়ে গিয়েছিল বড়সড় কোনও ফাঁক? উত্তর মেলেনি এদিন। কালো চশমায় ঢাকা নির্যাতিতার বাবার চোখে রাগ ছিল নাকি বিচার না মেলার যন্ত্রণা, তাও বোঝা যায়নি।