সন্তানের স্বাস্থ্যহানির জন্য মানসিক অস্থিরতা ও উদ্বেগ। ক্রমোন্নতি ও প্রশাসনিক ক্ষমতা ও দায়িত্ব বৃদ্ধি। বিদ্যায় ... বিশদ
গত শনিবার এই মামলার রায়দানের দিন শিয়ালদহ আদালতকে কঠোর নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছিল। সোমবার, সাজা ঘোষণার দিন সেই নিরাপত্তা কার্যত দ্বিগুণ করে দেয় লালবাজার। এদিন ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদার তিনজন অফিসার আদালত চত্বরের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। সকাল ৯টা থেকে সাধারণ মানুষর ভিড় জমতে শুরু করে আদালতের সামনে। স্রেফ কৌতূহলের বশবর্তী হয়েও অনেকে দাঁড়িয়ে পড়েন। একই সঙ্গে অভয়া মঞ্চের ডাকে শিয়ালদহ মেট্রো স্টেশনের বাইরে জমায়েত শুরু হয়। সেই ভিড় ‘ম্যানেজ’ করার দায়িত্বে সকাল থেকেই প্রায় ৫০০ পুলিসকর্মী মোতায়েন ছিল। হাজির ছিল র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সও। আদালতের প্রতিটি গেটের দায়িত্বে ছিলেন একজন করে অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদমর্যাদার অফিসার।
তবে এজলাসের অভ্যন্তরে এদিন পুলিস ‘অতিসক্রিয়তা’ দেখিয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। এই প্রথম শিয়ালদহ আদালতে এজলাসের ভিতরে বসানো হয় অ্যালুমিনিয়ামের গার্ডরেল। সাম্প্রতিককালের সবচেয়ে সংবেদনশীল মামলার রায়দানে সার্বিক নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই এত কড়াকড়ি বলে জানিয়েছে লালবাজার। রায় নিজের কানে শুনতে এদিন আইনজীবী সহ বহু সাধারণ মানুষও ঢুকে পড়েন এজলাসে। চিঁড়েচ্যাপ্টা হওয়ার মতো পরিস্থিতি সত্ত্বেও অপেক্ষা করেন তাঁরা। কিন্তু তাঁদের আশাভঙ্গ হয় বিচারকের অনির্বাণ দাসের রায় শুনে। শিয়ালদহের বাসিন্দা অর্চনা সেন বলেন, ‘শাস্তির নামে প্রহসন হল। আর কিছুই না।’ দমদমের বাসিন্দা শর্মিষ্ঠা ঘোষের বক্তব্য, ‘সঞ্জয় যে দোষ করেছে, তাতে যাবজ্জীবন কিছুই নয়। তবে ভালোই হয়েছে। আরও বড় আন্দোলনের সুযোগ তৈরি হল।’
সাজা ঘোষণা হওয়ার পর শিয়ালদহে কালো মাথার ভিড় আরও বাড়তে থাকে। পরিস্থিতি বুঝে আরও ফোর্স আসে লালবাজার থেকে। এরপরেই অভয়া মঞ্চের তরফে শিয়ালদহ থেকে মৌলালি পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মৌলালিতে অবস্থান বিক্ষোভ করেন তাঁরা। বিক্ষোভকারীদের দাবি, ‘কলকাতা পুলিস ও সিবিআই, দু’পক্ষই সঠিকভাবে তদন্ত করতে ব্যর্থ।’