সন্তানের স্বাস্থ্যহানির জন্য মানসিক অস্থিরতা ও উদ্বেগ। ক্রমোন্নতি ও প্রশাসনিক ক্ষমতা ও দায়িত্ব বৃদ্ধি। বিদ্যায় ... বিশদ
পার্ক সার্কাস স্টেশনের কর্ড লাইনের টিকিট কাউন্টারের ঠিক পিছনেই একটি কারখানায় দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ আগুন লাগে। দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে গোটা এলাকা। তার জেরে এলাকা এবং কর্ড লাইনের ওভারহেড তার ও স্টেশনে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। বন্ধ হয়ে যায় কর্ড লাইনের ট্রেন চলাচল। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর সেই লাইনে ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক হয়। তবে সন্ধ্যা গড়িয়ে গেলেও গোটা পার্ক সার্কাস স্টেশন চত্বর অন্ধকারে ডুবে থাকে। দমকলের ১৮টি ইঞ্জিন প্রায় দু’ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
জানা গিয়েছে, পার্ক সার্কাসের তিলজলা রোডের ওই কারখানায় প্রচুর কাঠও মজুত ছিল। দোতলা কারখানাটির একদম উপরের তলায় আগুন লাগে। ওই চত্বরে ছিল আরও একটি কারখানা। প্রচুর দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় চোখের পলকেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। তাই কর্ড লাইনে অর্থাৎ পার্ক-সার্কাস থেকে গুরুদাস হল্ট, কাঁকুড়গাছি হয়ে যে লাইনে ট্রেন চলাচল করে, সেই লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল দীর্ঘক্ষণ। তবে পার্ক-সার্কাসের মেন লাইনে কোনও ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়নি। ক্যানিং-বারাসত একটি লোকাল ট্রেন বালিগঞ্জ স্টেশনে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিল। রেলের এক কর্তা বলেন, আগুনের লেলিহান শিখা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছিল। রেল লাইনের একদম ধারেই অগ্নিকাণ্ড ঘটায় ওভারহেড তারে আগুন কোনওভাবে লেগে গেলে, তা বড় বিপর্যয় ডেকে আনতে পারত। তাই ৩টে ৪৪ মিনিটে ওই লাইনের ওভার হেড তারে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। প্রায় ঘণ্টা দুয়েক পর বিদ্যুৎ চালু করে ৫টা ৫৫ মিনিটে ফের ট্রেন চলাচল শুরু হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা রহমত শেখ, আব্দুল গাজি বলেন, গ্যাস সিলিন্ডার ফাটার শব্দ শোনা গিয়েছিল। সেখান থেকেই এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে অগ্নিশিখা। আগুনের উৎসস্থলে পৌঁছতে বেগ পেতে হয় দমকল কর্মীদের। মেইন রোডে গাড়ি রেখে পাইপলাইন জোড়া লাগিয়ে দূর পর্যন্ত নিয়ে যেতে হয়। স্টেশনের দিক থেকেও জল ছড়ানো হয়। ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় নিত্যযাত্রীদের। ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্ম এবং কারখানার অংশ ব্যারিকেড করে দেয় জিআরপি। পাশের ঘরগুলিও খালি করে দেওয়া হয়। ঘণ্টা দুয়েকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও পুরোপুরি নেভাতে সন্ধ্যা হয়ে যায়।