স্ত্রীর শরীর স্বাস্থ্য নিয়ে হঠাৎ সমস্যায় মানসিক চিন্তা ও উদ্বেগ। কাজকর্ম কমবেশি এগবে। অতিরিক্ত পরিশ্রমে ... বিশদ
পুলিস সূত্রে খবর, ধৃতের নাম সাবির আলি (৩৮)। সে হরিদেবপুরের বাসিন্দা। তাকে জেরা করে পুলিস জানতে পেরেছে, সাবির ঋণ পরিশোধের জন্য ওই তরুণীর কাছ থেকে টাকা ধার চায়। কিন্তু তরুণী তাকে টাকা দিতে অস্বীকার করেন। সেই নিয়ে তাঁদের মধ্যে শুরু হয় বচসা। ক্রমে তা হাতাহাতিতে পরিণত হয়। নিজেকে বাঁচাতে ওই তরুণী তড়িঘড়ি রান্নাঘর থেকে একটি ছুরি নিয়ে আসেন। কিন্তু সাবির তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং তরুণীর হাত থেকে ছুরি কেড়ে নেয়। এরপরই রাগের মাথায় সে ওই ছুরি দিয়েই তরুণীকে কোপায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তরুণীর।
উল্লেখ্য, বুধবার সন্ধ্যায় গল্ফগ্রিনের রাজেন্দ্র প্রসাদ কলোনির একটি ফ্ল্যাটে খাটের তলা থেকে উদ্ধার হয় ওই তরুণীর মৃতদেহ। মৃতার নাম নাফিসা খাতুন (৩১)। স্বামীকে ছেড়ে তিনি মায়ের সঙ্গে থাকতেন। গল্ফগ্রিন থানার উল্টোদিকে ওই তরুণীর মায়ের চায়ের দোকান রয়েছে। তরুণী সাউথ সিটি মলের এক রেস্তরাঁর কর্মী। সূত্রের খবর, এদিন সকাল ১১টা নাগাদ চায়ের দোকানে গিয়েছিলেন তরুণীর মা। কিন্তু মেয়েকে ফোন করলেও কোনও উত্তর পাচ্ছিলেন না। এদিকে দোকান ছেড়ে তিনি যেতেও পারছিলেন না। বিকেলের দিকে মেয়ের খোঁজ না পেয়ে তিনি বাড়িতে যান। দেখেন, ফোনটি ফ্রিজের উপর পড়ে রয়েছে। তারপরেই চোখ যায় বিছানার দিকে। তিনি দেখতে পান, খাটের নীচে পড়ে রয়েছে মেয়ের দেহ। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছন গল্ফগ্রিন থানা, লালবাজারের হোমিসাইডের তদন্তকারী আধিকারিকরা। শুরু হয় তদন্ত।