স্ত্রীর শরীর স্বাস্থ্য নিয়ে হঠাৎ সমস্যায় মানসিক চিন্তা ও উদ্বেগ। কাজকর্ম কমবেশি এগবে। অতিরিক্ত পরিশ্রমে ... বিশদ
জানা গিয়েছে, মৃত তরুণীর নাম নাফিসা খাতুন (৩১)। স্বামীকে ছেড়ে মায়ের সঙ্গে থাকতেন। গল্ফগ্রিন থানার উল্টোদিকে ওই তরুণীর মায়ের চায়ের দোকান রয়েছে। তরুণী সাউথ সিটি মলের এক রেস্তরাঁর কর্মী। সূত্রের খবর, সকাল ১১টা নাগাদ চায়ের দোকানে গিয়েছিলেন তরুণীর মা। কিন্তু মেয়েকে ফোন করলেও কোনও উত্তর পাচ্ছিলেন না। এদিকে দোকান ছেড়ে যেতেও পারছিলেন না। বিকেলের দিকে মেয়ের খোঁজ না পেয়ে তিনি বাড়িতে যান। দেখেন, ফোনটি ফ্রিজের উপর পড়ে রয়েছে। তারপরেই চোখ যায় বিছানার দিকে। তিনি দেখতে পান, খাটের নীচে পড়ে রয়েছে মেয়ের মৃতদেহ। স্থানীয় সূত্রের খবর, ১/৩০ রাজেন্দ্র প্রসাদ কলোনির চার তলা আবাসনের একতলার ফ্ল্যাট ৭-৮ বছর আগে কিনেছিলেন তাঁরা। মা-মেয়েই থাকতেন ওই ফ্ল্যাটে। স্থানীয় বাসিন্দা গৌরী শীল বলেন, ‘আমরা এই এলাকায় প্রায় ৩০-৩৫ বছর ধরে রয়েছি। এরকম ঘটনা দেখিনি। এখন বেশ ভয়ই লাগছে।’ প্রাথমিক তদন্তে আঘাতের চিহ্ন দেখে খুন বলেই মনে করছে পুলিস। প্রাথমিকভাবে স্নিফার ডগ দেখানো পথেই এগোচ্ছে তদন্ত। জানা গিয়েছে, ওই চারতলা বিল্ডিংয়ের সামনে একটি রাস্তা রয়েছে। আর পিছনে সরু অন্ধকার গলি। সূত্রের খবর, স্নিফার ডগ ঘটনাস্থলে নেমেই ওই ফ্ল্যাট থেকে সোজা চলে গিয়েছে পিছনের রাস্তায়। মনে করা হচ্ছে, আততায়ী খুন করে পিছনের অন্ধকার গলি দিয়েই পালিয়েছে। পুলিসের অনুমান, মা বেরিয়ে যাওয়ার পর তরুণীর সঙ্গে দেখা করতে ওই ফ্ল্যাটে কেউ এসেছিলেন। যে ব্যক্তি মৃতার পূর্ব পরিচিত হয়ে থাকতে পারেন। তবে, ওই এলাকায় কোনও সিসি ক্যামেরা না থাকায়, আততায়ীকে চিহ্নিত করতে যথেষ্ট বেগ পেতে হবে পুলিসকে। আপাতত তরুণীর মোবাইল ফোনের কল ডিটেইলসেই নজর দিচ্ছেন তদন্তকারীরা, যদি সেখান থেকে কোনও সূত্র মেলে।