সংবাদদাতা, বনগাঁ: ছাত্রীর রহস্যমৃত্যু। ঘর থেকে উদ্ধার একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ। মৃতার নাম অদ্রিকা দাস (১৭)। ঘটনাটি ঘটেছে গাইঘাটা থানার চাঁদপাড়া এলাকায়। এই ঘটনায় মৃতার দুই বন্ধুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। ধৃতদের নাম সুমন্ত বিশ্বাস ও রকি দাস ওরফে বিট্টু। দু’জনেরই বাড়ি চাঁদপাড়া ঢাকুরিয়া এলাকায়। ধৃতদের আজ, বৃহস্পতিবার বনগাঁ আদালতে তোলা হবে বলে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, চাঁদপাড়ার বাসিন্দা অদ্রিকা নৃত্যশিল্পী হিসেবেও পরিচিত। পড়াশোনার পাশাপাশি নাচ-গান নিয়ে থাকত সে। টেলিভিশনের জনপ্রিয় নৃত্য প্রতিযোগিতায় সুনামও অর্জন করেছিল। মঙ্গলবার রাতে ঘর থেকে ওড়না দিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরিবারের অভিযোগ, মেয়েকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছে তার বন্ধুরা। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস দুই বন্ধুকে গ্রেপ্তার করে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বন্ধুদের সঙ্গে বনগাঁ সাতভাই কালী মন্দিরে পুজো দিয়ে বিকেলে এক বান্ধবীর সঙ্গে ঘুরতে বেরিয়েছিল। রাতে মায়ের সঙ্গে এলাকায় একটি কালীপুজোয় যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অদ্রিকার বাবার কাছে মেয়ের এক বন্ধু ফোন করে জানায়, অদ্রিকা আত্মহত্যার চেষ্টা করছে। তড়িঘড়ি অদ্রিকার বাবা বাড়ি ফিরে দেখেন, মেয়ে ঘরে ওড়না দিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে রয়েছে। পরিবারের অভিযোগ, মেয়েকে বেশ কিছুদিন ধরে উত্যক্ত করত কয়েকজন বন্ধু। ঘটনার দিনও বাড়ির সামনে এসে নানা কটূক্তি করে তারা।
সূত্রের দাবি, এক বন্ধু অদ্রিকার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাইছিল। তাই বেশ কিছুদিন ধরে অদ্রিকা বন্ধুদের এড়িয়ে চলছিল। বাবা অমল দাস বলেন, মেয়ে বন্ধুদের সঙ্গ ছেড়ে চলে আসতে চেয়েছিল। ওরা ওকে ব্লাকমেল করত। এদিনও মেয়েকে কটুকথা বলে। সেই অপমান সহ্য করতে না পেরে মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। গাইঘাটা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন অদ্রিকার বাবা। তাঁর প্রশ্ন, অদ্রিকার আত্মহত্যার চেষ্টার খবর বন্ধু জানলো কী করে? এদিকে, কী নিয়ে বন্ধুরা তাকে ব্লাকমেল করত বলে অভিযোগ, তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।