স্ত্রীর শরীর স্বাস্থ্য নিয়ে হঠাৎ সমস্যায় মানসিক চিন্তা ও উদ্বেগ। কাজকর্ম কমবেশি এগবে। অতিরিক্ত পরিশ্রমে ... বিশদ
বনদপ্তরের বক্তব্য, জঙ্গলে বাঘের খাবার কম পড়ছে এ তথ্য ঠিক নয়। ওরা জঙ্গল থেকে বেরিয়ে খাঁড়ির পথে ঢুকছে। জঙ্গলে পেতে রাখা জাল কাটা থাকছে। তাই বাঘের পক্ষে ঢোকা-বেরনো সহজ হয়ে যাচ্ছে। ভুবনেশ্বরী, বৈকুন্ঠপুর, কিশোরীমোহনপুর, নগেনাবাদ, গঙ্গার ঘাট এলাকায় অধিকাংশ জায়গাতেই জাল কাটা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। কাঁকড়া ধরতে গিয়ে তা কেটে দিচ্ছেন মৎস্যজীবীদের একাংশ। বনদপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, একই রুটে চলে আসার প্রাথমিক কারণ মনে হচ্ছে, আজমলমারি এক, তিন, চার, ১১, ১২ নম্বর জঙ্গল থেকে বেরিয়ে লোকালয়ের কাছে চলে আসছে। সেখানে চিতুরির মুখ, চা পাতার ঘাট, লিথুনাইয়ার ঘাটের দিকে থাকা লোকালয়ের কাছে জঙ্গল নেই। অন্যদিকে যে লোকালয় সংলগ্ন জঙ্গলে বাঘ ঘাঁটি গাড়ছে সেখানে প্রচুর বন্যপ্রাণী। বন শুয়োর, বন বিড়াল, চিতাবাঘ বিড়ালের দেখা মেলে। এখানে খাবার পাওয়ার পেয়ে যায় বাঘ। পাশাপাশি লোকালয় সংলগ্ন জঙ্গলের কাছে মরা গৃহপালিত পশু ফেলেন গ্রামবাসীরা। সেগুলির টানেও চলে আসে। তারপর সহজে খাবার পেয়ে যাওয়ায় একবার এই জঙ্গলে এসে পড়লে নড়তে চায় না। রায়দিঘি রেঞ্জে সতেরোটি বাঘের দেখা মিলেছিল। তার মধ্যে বেশিরভাগেরই বসবাস ওই জঙ্গলগুলিতে।
কারণ যাই হোক, যখন তখন বাঘ ঢুকে পড়ার আতঙ্ক গ্রামবাসীদের কোনওভাবেই দূর হচ্ছে না। বনদপ্তরকে আরও কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।