স্ত্রীর শরীর স্বাস্থ্য নিয়ে হঠাৎ সমস্যায় মানসিক চিন্তা ও উদ্বেগ। কাজকর্ম কমবেশি এগবে। অতিরিক্ত পরিশ্রমে ... বিশদ
সরকারি আইনজীবী এদিন বলেন, বেনজির দ্রুততায় একটি বিচার প্রক্রিয়া কার্যত শেষ হয়েছে। পুলিস যেভাবে এই মামলায় তৎপরতার সঙ্গে চার্জশিট দিয়েছে, তার কোনও অতীত নজির নেই। সমগ্র বিচার প্রক্রিয়া এবং তার দ্রুততা একটি বড় সামাজিক বার্তা বহন করছে। আমরা ওই নারকীয় ঘটনার সওয়াল করতে গিয়ে বারবার ফাঁসির সাজা চেয়েছি। এদিন অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। এদিনের শুনানির পরে পুলিস কর্তারাও ছিলেন দৃশ্যত খুশি। জেলা গ্রামীণ পুলিস সুপার কামনাশিস সেন জানিয়েছেন, ওই মামলার তদন্তের জন্য সিট গঠন করা হয়েছিল। একটি নৃশংস ঘটনার প্রেক্ষিতে সমস্ত স্তরের পুলিস কর্মী ও অফিসার তৎপরতার সঙ্গে নিজেদের দায়িত্ব পালন করেছেন। ২৪ নভেম্বর ঘটনাটি ঘটেছিল। ৯ ডিসেম্বর চার্জশিট জমা করা হয়। গুড়াপের মৃত শিশুর পরিবারও শোকের মধ্যেও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে। খুন হওয়া শিশুর বাবা বলেন, আমি চাই বিচারক ও নরপশুকে ফাঁসি দেওয়া হোক। আমার মেয়েটা সেদিন মাংস খেতে চেয়েছিল। কিন্তু সেই মাংস আর ওকে কোনওদিন খাওয়াতে পারব না। সেই শোক আজও ভুলতে পারিনি।
গত ২৪ নভেম্বর রাতে প্রতিবেশীর পাঁচ বছরের শিশুকে লজেন্সের লোভ দেখিয়ে বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল অশোক সিং। অনেক রাতে শিশুটির পরিবার তার খোঁজ না পেয়ে অশোকের বাড়িতে হানা দেয়। সেখানেই অর্ধনগ্ন, রক্তাক্ত অবস্থায় শিশুটির মৃতদেহ মেলে। মৃতদেহ বস্তা চাপা দিয়ে রাখা ছিল। ঘটনার জেরে ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা অশোককে ধরে গণপিটুনি দেয়। রাতেই পুলিস এসে জখম অশোককে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিনই সিট গঠন করে তদন্ত শুরু করে পুলিস। নানা মহল থেকে ওই মামলার দ্রুত বিচারের দাবি উঠেছিল। শেষপর্যন্ত ৫৩ দিনের মধ্যে বিচারক, অভিযুক্ত অশোককে দোষী সাব্যস্ত করলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত শিশুটির প্রতিবেশী অশোক, মদ্যপ ও যৌনলোলুপ ছিল। অতীতেও তার বিরুদ্ধে শিশুকে যৌন হেনস্তার অভিযোগ উঠেছিল। পেশায় দিনমজুর ওই ব্যক্তির দু’জন স্ত্রী। তাঁরা কেউই অশোকের সঙ্গে বসবাস করতে পারেননি।