স্ত্রীর শরীর স্বাস্থ্য নিয়ে হঠাৎ সমস্যায় মানসিক চিন্তা ও উদ্বেগ। কাজকর্ম কমবেশি এগবে। অতিরিক্ত পরিশ্রমে ... বিশদ
ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে পার্ক স্ট্রিট থানায় এক কোটি ২৫ লক্ষ টাকার হিরের গয়না চুরির অভিযোগ জানান এক ব্যবসায়ী মহিলা। তাঁর অভিযোগ, খোদ ব্যাঙ্কের লকার থেকে চুরি হয়ে গিয়েছে তাঁর গচ্ছিত রাখা গয়না। এরপরেই তদন্তের ভিত্তিতে ব্যাঙ্কের লকার ম্যানেজার মৌমিতাকে গ্রেপ্তার করে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ধৃতের ভাইয়ের এই ঘটনার সঙ্গে সরাসরি যোগ পাওয়া যায়। এরপরেই অভিযুক্ত মিঠুন শীকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। প্রাথমিকভাবে তাদের থেকে প্রায় ৬০ লক্ষ টাকার গয়না এবং একটি গাড়ি উদ্ধার করে পুলিস। গোয়েন্দাদের জেরায় দুই অভিযুক্ত জানিয়েছে, ব্যাঙ্কের মেরামতির সময় লকারের দু’টি চাবি তার কাছে জমা ছিল। সেই সময়, নকল চাবি বানিয়ে নেয় অভিযুক্তরা। এরপরে দেড় মাস ধরে অল্প অল্প করে লকারে থাকা মোট ১২ কোটি টাকা মূল্যের হিরে-জহরত ও গয়না হাতিয়ে নেয় অভিযুক্তরা।
প্রাথমিকভাবে এই বিপুল পরিমাণ গয়না হাতানোর বিষয়টি স্বীকার করে নেয় মৌমিতা ও মিঠুন। আদালতে পেশ করে অভিযুক্তদের হেফাজতে নেয় লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ। এর পরেই কসবায় মৌমিতার অভিজাত আবাসনে হানা দেন গোয়েন্দারা। লালবাজার সূত্রে খবর, বোসপুকুর রোডের উপর সাদার্ন এনক্লেভের দোতালায় একটি টু বিএইচকে ফ্ল্যাটে থাকে লকার ম্যানেজার। সেখান থেকে উদ্ধার হয়েছে হিরের বিভিন্ন রকমের অলঙ্কার। এর আর্থিক মূল্য প্রায় ১০ কোটি টাকা। এছাড়াও মিলেছে প্রায় ৮০০ গ্রাম সোনার বার। অন্যান্য সোনার অলঙ্কার মিলিয়ে মোট ৮০ লক্ষ টাকার গয়না উদ্ধার হয়েছে মৌমিতার বাড়ি থেকে। আর কোনও জায়গায় অলঙ্কার জমা রাখা বা বিক্রি করা হয়েছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকরা।