অর্থপ্রাপ্তির ক্ষেত্রটি বেশ অনুকূল। ব্যবসা, পেশা প্রভৃতি সব কর্মেই কমবেশি উন্নতি ও প্রসারের যোগ। ধর্ম ... বিশদ
এদিন পুর চেয়ারম্যানের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয় বিধায়কের। যদিও সংবাদমাধ্যমের কাছে কেউই দোষারোপের কথা উল্লেখ করেননি। এদিন বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, বাড়ির অভিভাবক যদি ঠিক না থাকে, তাহলে সমস্যা তো হবেই। পুরসভার কর্মীরা সময়ে কাজে আসেন না। বকেয়া পুরকর আদায় হয় না। তার জেরেই ভাঁড়ারে টান পড়েছে। কর্মীদের ভাতার টাকা নিয়ে সঙ্কট তৈরি হয়েছে। শহরের নাগরিকরা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এর মধ্যে দু’দিন পুরসভায় এসে আমার মনে হয়েছে, অবিলম্বে কর্মসংস্কৃতি ফেরাতে হবে। এদিন যখন বিধায়ক ঘুরছিলেন, তখন চেয়ারম্যান অফিসে ছিলেন না। সেই প্রসঙ্গে বিধায়ক বলেন, হয়তো তাঁর অন্য কোনও কাজ ছিল। চেয়ারম্যানকে যে থাকতেই হবে, এমন কোনও কথা নেই। আমি আছি, পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান আছেন। চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিলের সদস্যরা আছেন। সকলে মিলেই কাজ করতে হবে। এ নিয়ে চেয়ারম্যান বলেন, বিধায়ক এদিন হাজিরা খাতায় সই করাচ্ছিলেন। আমি বলেছি, আপনি দয়া করে খাতা নিয়ে সই করাতে যাবেন না। এটা পুরসভার নিজস্ব কাজ। প্রত্যেক জনপ্রতিনিধির কাজের নিজস্ব জায়গা আছে। পুরসভার স্বাভাবিক কাজের পরিবেশ চমক দিয়ে গড়া যাবে না। পুরসভার আর্থিক সঙ্কটের আসল কারণ কী, তা সবাই জানেন। এনিয়ে পুরসভার চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিলের সদস্য জয়দেব অধিকারী বলেন, বিধায়কের উপস্থিতিতে কর্মীদের হাজিরা খাতায় সই করানো হচ্ছিল। এ নিয়ে প্রশ্ন তোলা অর্থহীন। সকলে মিলে কাজ করলে কাজ ভালোই হবে। চেয়ারম্যান এনিয়ে অকারণে বিতর্ক তৈরি করছেন। তাতে মানুষের কাছে ভুল বার্তা যাবে।
রাজনৈতিক মহল বলছে, পুরসভার দখলদারি নিয়ে চেয়ারম্যান অমিত রায় ও বিধায়ক অসিত মজুমদারের দ্বন্দ্ব অনেক পুরনো। সম্প্রতি দখলদারদের সরানোর বিষয়ে সেই দ্বন্দ্বের ছায়া দেখা গিয়েছে। তৃণমূলের অন্দরমহল সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরসভার অস্থায়ী কর্মীদের আন্দোলন সেই দ্বন্দ্বকে ফের উস্কে দিয়েছে। মঙ্গলবার বিধায়কের পুরসভায় যাওয়া এবং চেয়ারম্যানের উষ্মা, সেই দ্বন্দ্বেরই প্রতিফলন বলে মনে করা হচ্ছে।