অর্থপ্রাপ্তির ক্ষেত্রটি বেশ অনুকূল। ব্যবসা, পেশা প্রভৃতি সব কর্মেই কমবেশি উন্নতি ও প্রসারের যোগ। ধর্ম ... বিশদ
ফলে ব্যাগে ঢুকে গেল স্টাইলিস সব শখ কর কেনা শীত পোশাক। ধোঁয়া ওঠা কফির বদলে মানুষের হাতে ঠান্ডা পানীয়ের বোতল। সকাল থেকেই উষ্ণ আবহাওয়া। আকাশে রোদ-মেঘের আনাগোনা। আবহাওয়া দপ্তর এই অবসরে জানাল, মঙ্গলবার শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭.৩ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। আজ, বুধবার, বড়দিনেও এমন গরমেরই পূর্বাভাস। তবে ছিটেফোঁটা বৃষ্টিও হতে পারে। বর্ষশেষের উৎসব মরশুমে মোটেও বন্ধুত্বমূলক আচরণ করল না প্রকৃতি। তবে তাতে থোরাই কেয়ার কলকাতার। গলদঘর্ম পরিস্থিতিতেও মানুষ উৎসব উদযাপনে এতটুকু খামতি রাখল না। মঙ্গলবার সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন প্রান্তে উপচে পড়া ভিড়। আলিপুর চিড়িয়াখানায় লোকসমাগমের সংখ্যা ৩৪ হাজার ২৫৪।
দুপুর বারোটা নাগাদ রোদের তাপে সবার ঘর্মাক্ত মুখমণ্ডল। বারুইপুর থেকে সপরিবারে নিউ গড়িয়া স্টেশনে এসেছিলেন সৌমেন নস্কর। মেট্রো করে যাবেন ভিক্টোরিয়া। ঘেমে নেয়ে বিরক্ত। বললেন, ‘ফিরতে রাত হবে তাই শীতের জামা নিতে হয়েছে। এখন কষ্ট হলেও বইতে হচ্ছে। ডিসেম্বরে এরকম গরম! অবাক হয়ে যাচ্ছি।’ তাও দুপুর থেকেই পার্ক স্ট্রিটে তরুণ-তরুণী থেকে মধ্যবয়সীদের জমাট ভিড়। উল্টোডাঙা থেকে বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে এসেছিলেন কয়েকজন কলেজ পড়ুয়া। দ্বিতীয় বর্ষের অনীক ঘোষ বললেন, ‘ভিক্টোরিয়া গিয়েছিলাম। হেঁটে আসতে গিয়ে ঘেমে গলদঘর্ম। কোনও ঠান্ডাই নেই। বিরক্তিকর।’ এর মধ্যে হাওয়া অফিসের তথ্য ঘেঁটে দেখা গেল, ঠান্ডা যে এ বছর নেই তা কিন্তু নয়। ২০২২ ও ২০২৩ সালের ২৫ ডিসেম্বর শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল যথাক্রমে ১৬.৯ ও ১৭.২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। তবে হ্যাঁ, ২০১৯ থেকে ২০২১ সালে ১৩ থেকে ১৪’র ঘরে ঘোরাফেরা করেছিল সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদ।
শুধু তো কলকাতা নয়, শহরতলিতেও বেড়েছে তাপমাত্রা। দমদম, ডায়মন্ড হারবার, সল্টলেকে ১৭ থেকে ১৮ ডিগ্রি ছিল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। বারাকপুর, ক্যানিং, উলুবেড়িয়াতে ১৪ থেকে ১৪ ডিগ্রি। তবে এই উৎসবের সময় মানুষ এসব তাপমাত্রার পরিসংখ্যানে চোখ রাখতে রাজি নন। ঘুরবেন, দেখবেন, খাবেন, আনন্দ করবেন চুটিয়ে, এটাই লক্ষ্য সবার। সায়েন্স সিটি দেখতে এসেছিলেন বিপুল সাহা। মগরাহাটের বাসিন্দা বিপুলবাবু বললেন, ‘আমাদের ওদিকে বেশ ঠান্ডা। ট্রেনে ফেরার সময় শীত লাগবে। তবে গরমই থাকুক আর ঠান্ডাই থাকুক। ছুটির সময় বাচ্চাদের কলকাতা দেখাতে আসতেই হয়। যতই গরম পড়ুক আসব, ঘুরবও। মেরি ক্রিসমাস।’