অর্থপ্রাপ্তির ক্ষেত্রটি বেশ অনুকূল। ব্যবসা, পেশা প্রভৃতি সব কর্মেই কমবেশি উন্নতি ও প্রসারের যোগ। ধর্ম ... বিশদ
সমস্যা শুধু দমদমের এই তিন পুরসভার নয়, সার্বিক পরিস্থিতির প্রভাব পড়েছে বরানগর, কামারহাটি, পানিহাটি ও খড়দহ পুরসভা অঞ্চলেও। এই পুরসভাগুলির নিজস্ব জল উৎপাদন প্রকল্প থাকলেও গঙ্গার জলস্তর কমে যাওয়ার কারণে একই সমস্যায় ভুগছে সেগুলি। ফ্ল্যাটবাড়ি ও আবাসন প্রকল্পগুলির ইচ্ছেমতো ভূগর্ভস্থ জল তুলে নেওয়ার সমস্যা এসব অঞ্চলেও যথেষ্ট রয়েছে। সব মিলিয়ে ভোগান্তি বেড়েছে আম জনতার।
পরিস্থিতি এমন যে চুক্তিমতো পানীয় জল সরবরাহ করছে না দক্ষিণ দমদম পুরসভা—এই অভিযোগে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে একটি অভিজাত আবাসন কর্তৃপক্ষ। তাদের অভিযোগ, চুক্তির অর্ধেক পরিমাণ জলও পুরসভা দিতে পারছে না। এই আবহে দমদমের তিনটি পুরসভা কেএমডিএকে চিঠি দিয়ে জল সরবরাহ বাড়ানোর দাবি করছে। পাল্টা চিঠি দিয়ে কেএমডিএ গঙ্গার জলস্তর নেমে যাওয়ার সমস্যার কথা জানিয়েছে। সূত্রের খবর, কামারহাটির প্রকল্প থেকে দক্ষিণ দমদম পুরসভা ২০১৭ সালে ১০ এমজিডি (মিলিয়ন গ্যালন পার ডে) হারে জল পেত। প্রতি বছর তা কমতে কমতে চলতি বছরে এই পুরসভা ৭.৮৬ এমজিডি জল পাচ্ছে। দমদম পুরসভা ৬ এমজিডি করে জল পাওয়ার কথা থাকলেও এখন পাচ্ছে মাত্র ৩.৬ এমজিডি। আর উত্তর
দমদম পুরসভা ১১.১৯ এমজিডির জায়গায় এখন পাচ্ছে ৭.৭৩ এমজিডি। এই পরিসমখ্যান থেকেই তিন পুরসভায় পানীয় জলের সঙ্কটের
চিত্র অনেকটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। কারণ হিসেবে কেএমডিএ গঙ্গার জলস্তরকে দায়ী করার পাশাপাশি পাইপলাইন থেকে জল চুরির সমস্যাকেও কাঠগড়ায় তুলেছে।
দক্ষিণ দমদম পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই দত্ত বলেন, ‘জল কম আসায় চুক্তি অনুযায়ী একটি আবাসনকে আমরা জল দিতে পারছি না। অন্যান্য আবাসনেও সমস্যা
তৈরি হচ্ছে।’ দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান হরেন্দ্রনাথ সিং বলেন, ‘আমরা তো কেএমডিএর প্রকল্প থেকে অর্ধেক জল পাচ্ছি। মাটির নীচের জলস্তর নেমে যাওয়ার জন্যও সমস্যা প্রকট হচ্ছে।’