অর্থপ্রাপ্তির ক্ষেত্রটি বেশ অনুকূল। ব্যবসা, পেশা প্রভৃতি সব কর্মেই কমবেশি উন্নতি ও প্রসারের যোগ। ধর্ম ... বিশদ
জনপ্রিয় হয়েও কেন হারিয়ে গেল চিজ বা কেক তৈরির চল? স্বতন্ত্র হুগলি জেলা মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সমিতির চেয়ারম্যান অমিতাভ দে বলেন, ‘এই চিজ থেকে তৈরি কেক একেবারে হারিয়ে গিয়েছে বললে ভুল হবে। কলকাতার নিউ মার্কেটে ব্যান্ডেল কটেজ চিজ এখনও পাওয়া যায়। তাছাড়া বো বারাকে ক্রিসমাসে কটেজ চিজ কেক বিক্রি হয়। তাতে ডিম থাকায় দেবতাকে নিবেদন করা যায় না।’ অমিতাভবাবুদের প্রতিষ্ঠান ফেলু মোদকও তৈরি করে ছানার কেক। ৬০০ টাকা দাম এক কেজির। সেই কেকের কদরও যথেষ্ট। তিনি বলেন, ‘বড়দিনকে সামনে রেখে সবার সাধ্যমতো ৫০ থেকে ৫০০ গ্রাম বা এক কেজির কেক রাখি আমরা। সঙ্গে মিল্ক কেকের চাহিদাও থাকে।’
স্বাস্থ্য সচেতন নাগরিকরা এখন ময়দা খানিক এড়িয়ে চলে। তাদের অনেকে কেক হিসেবে আপন করে নিয়েছেন ছানার কেক। জলভরা সন্দেশের জন্য বিখ্যাত সূর্যকুমার মোদকেও সারা বছর বিক্রি হয় ছানার কেক। সমিতির সাধারণ সম্পাদক তথা এই প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার শৈবাল মোদক বলেন, ‘আমরা বড়দিনকে কেন্দ্র করে আগে থেকেই কেকের অর্ডার নিই। ক্রেতাদের আগ্রহ তুঙ্গে। যাঁরা ক্রিসমাসে উপহার হিসেবে কেক দেন, তাঁরাও অভিনব স্বাদের জন্য এটি কেনেন। কেজি পিছু দাম ৬০০ টাকা।’ মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীদের সংগঠন মিষ্টি উদ্যোগের অন্যতম সদস্য কালীমাতা মিষ্টান্ন ভাণ্ডারে ছানার কেকের দাম ১৫ টাকা থেকে শুরু। আছে ১০০ টাকার কেকও। এখানকার কর্ণধার স্বরূপ দত্ত বলেন, ‘কোন্নগরের প্রতিষ্ঠান হিসেবে শুধু হুগলির ঐতিহ্যকে ধরে রাখাই নয়, আমরা বড়দিনের স্বাদ বদলের জন্যও এই কেক তৈরি করি। শীত থাকার কারণেই এর টানা চাহিদা।’