অর্থপ্রাপ্তির ক্ষেত্রটি বেশ অনুকূল। ব্যবসা, পেশা প্রভৃতি সব কর্মেই কমবেশি উন্নতি ও প্রসারের যোগ। ধর্ম ... বিশদ
হঠাৎ করে জাঁকিয়ে শীত পড়লেও আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় সেই কাঁপুনি উবে গিয়েছে। হিমেল বাতাস উধাও। চলতি মাসের শুরুতে শীতবস্ত্র দেদার বিক্রি হওয়ায় নতুন করে স্টক তুলতে গত সপ্তাহে মঙ্গলাহাটে এসেছিলেন বেশ কয়েকটি জেলার পাইকারি ব্যবসায়ীরা। বড়দিনের আগে মঙ্গলবারের শেষ বাজারে পাইকারি ব্যবসায়ীদের দেখা না মিললেও খুচরো ক্রেতাদের ভিড়ে গমগম করছিল হাওড়া ময়দান সংলগ্ন সমবায়িকা হাট, নবীন হাট, ফ্যান্সি হাট, মডার্ন হাট ও পোড়াহাট। বিশেষ করে ফুটপাতে যে সব ব্যবসায়ীরা মহিলা ও শিশুদের শীত পোশাকের পসরা সাজিয়ে বসেছিলেন, তাঁরা এদিন খানিকটা লাভের মুখ দেখলেন। মঙ্গলাহাটের ছোট ব্যবসায়ীদের কথায়, উলের পোশাক এবার খুবই কম বিক্রি হয়েছে। তবে টুপি, মাফলার, মোজা ও হাল্কা জ্যাকেটের চাহিদা এখনও রয়েছে। সাধারণ ক্রেতাদের অনেকেই বলেন, ‘গ্রামগঞ্জের দিকে ঠান্ডা ভালোই অনুভূত হচ্ছে। তাই ভারী শীত পোশাকের প্রয়োজন এখনই কমছে না।’
মঙ্গলাহাটের ব্যবসায়ীরা পৌষ সংক্রান্তির মেলার দিকে এখন তাকিয়ে। বড় ব্যবসায়ীদের একাংশের কথায়, ‘সংক্রান্তির সময়ে বর্ধমান, বীরভূম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, মেদিনীপুরের বহু গ্রামে ছোট-বড় অসংখ্য মেলা বসে। সেখানকার খুচরো কাপড় বিক্রেতারা জানুয়ারিতে মঙ্গলাহাটে আসবেন ঠিকই, তবে শীতের পোশাকের জন্য নয়। তাঁরা বেশি তুলবেন গরমের পোশাকই। সেই সময় খানিকটা লাভের মুখ দেখা যাবে।’ মঙ্গলাহাট ব্যবসায়ী সমিতির (সেন্ট্রাল) সভাপতি মলয় দত্ত বলেন, ‘সব মিলিয়ে এবার শীতের বাজার খুব একটা জমেনি। তবে উত্তরবঙ্গ ও বাইরের পাইকারি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, তাঁরা ইতিমধ্যেই যে পোশাক তুলে নিয়ে গিয়েছেন, তার সিংহভাগই বিক্রি হয়ে গিয়েছে। ফলে আশা করা যায়, পৌষ সংক্রান্তি ও তারপর ঈদের বাজার জমে উঠবে।’-নিজস্ব চিত্র