অর্থপ্রাপ্তির ক্ষেত্রটি বেশ অনুকূল। ব্যবসা, পেশা প্রভৃতি সব কর্মেই কমবেশি উন্নতি ও প্রসারের যোগ। ধর্ম ... বিশদ
শালিমার স্টেশন থেকে প্রতি মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সেকেন্দ্রাবাদ এক্সপ্রেস ছাড়ে। সেই মতো এদিন সকাল সাড়ে ৮টা থেকেই স্টেশনে আসতে শুরু করেন যাত্রীরা। অনেকে স্টেশনে এসে এই ট্রেনের জেনারেল টিকিটও কাটেন। যাত্রীদের অভিযোগ, সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ সংরক্ষিত আসনের যাত্রীরা আচমকা রেলের তরফে একটি মেসেজ পান। তাতে লেখা, সেকেন্দ্রাবাদ এক্সপ্রেস বাতিল করা হয়েছে। এই মেসেজ দেখেই মাথায় হাত পড়ে যাত্রীদের। তাঁদের কথায়, তাঁরা স্টেশন ম্যানেজারের ঘরে গিয়ে বিষয়টি জানার চেষ্টা করলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। উল্টে উত্তেজিত যাত্রীদের থামাতে রেল পুলিসের বিশাল বাহিনী নিয়ে আসা হয়। এরপর রেললাইনে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন যাত্রীরা। তাঁদের সামলাতে আরপিএফ ও রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা ছুটে আসেন। শেষমেশ যাত্রীদের চাপে ট্রেন চালাতে বাধ্য হন কর্তারা। তাঁদের জানানো হয়, দেরিতে হলেও সেকেন্দ্রাবাদগামী ট্রেন শালিমার থেকেই ছাড়বে।
এই ট্রেনেরই যাত্রী পিয়ালি দাস, রমেশ যাদব, উদয় শর্মারা বলেন, ‘কোনও না কোনও কাজে প্রত্যেককেই ভিন রাজ্যে যেতে হবে। অথচ ট্রেন ছাড়ার মাত্র আধ ঘণ্টা আগে সেটি বাতিল বলে দায়সারাভাবে জানিয়ে দিল রেল।’ রেলের আধিকারিকদের সামনেই যাত্রীরা প্রশ্ন তোলেন, ‘যদি আগে থেকেই ট্রেন বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়ে থাকে, তাহলে তৎকাল ও জেনারেল টিকিট ইস্যু করা হল কেন?’
পরে রেলকর্তারা বাধ্য হয়ে জানান, দুপুর দেড়টার সময় ট্রেনটি শালিমার থেকে ছাড়বে। সেই মতো দুপুরের দিকে ট্রেনটি যাত্রীদের নিয়ে সেকেন্দ্রাবাদের উদ্দেশ্য রওনা হয়। রেলের অব্যবস্থা নিয়ে মুখ খুলেছেন যাত্রীদের অনেকেই। এদিন একরত্তি মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে স্টেশনে এসে রীতিমতো বিপদে পড়েন ভিয়েতনামের বাসিন্দা নীরজ সিং। তিনি বলেন, ‘সোমবার এয়ারপোর্টে নেমে দিনটি কলকাতার হোটেলে কাটিয়ে ভেবেছিলাম এদিন সকালের ট্রেনেই ভুবনেশ্বরের বাড়িতে যাব। স্টেশনে এসে কি করব, বুঝতে পারছিলাম না। রেলের পরিষেবার ব্যাপারে খুব খারাপ অভিজ্ঞতা হল।’ অন্যদিকে ট্রেন বাতিলের খবর শুনে বাসের টিকিটের জন্য হন্যে হয়ে পরিবার নিয়ে বাবুঘাট, ধর্মতলা চত্বরে ঘুরে বেড়ান স্নেহাশিস দাস। তিনি বলেন, ‘পারিবারিক অনুষ্ঠানে বেহালায় এসেছিলাম। এদিনই কটকে ফিরতে হতো। অনেক কষ্টে বাসের টিকিট কেটেছিলাম। সেই টাকা পুরো জলে গেল।’ যদিও রেলের দাবি, ট্রেনটি পুনঃনির্ধারিত সময়ে ছাড়ার কথা যাত্রীরা না জানায় ভুল বুঝে তাঁরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের জনসংযোগ আধিকারিক ওমপ্রকাশ চরণ বলেন, ‘ট্রেনটি বাতিল করা হয়নি। আগেই রিশিডিউল করা হয়েছিল। যাত্রীদের সেটা বোঝানো হয়।’