সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
বিধাননগর পুরসভার উদ্যোগে অবশেষে ওই ২৬ ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে মিউটেশন শুরু হল। পুরসভার দাবি, আরও দু’টি সংযুক্ত ওয়ার্ড রয়েছে। যে এলাকার মানুষ খাজনা দেন বিএলএলআরও অফিসে। পরবর্তী সময়ে ওই দু’টি ওয়ার্ডেও মিউটেশন করা হবে।
পুরসভা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২৬ ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ড দু’টি সেক্টর ফাইভ এলাকার মধ্যে পড়ে। প্রথম পর্যায়ে পুরসভা এই দু’টি ওয়ার্ডের ফাঁকা জমির মিউটেশন শুরু করেছে। আগে জমির মিউটেশন কাজ শেষ হবে। তারপর বাড়ির মিউটেশন শুরু হবে। এটি সময়সাপেক্ষ কাজ। সল্টলেক পুরসভার সঙ্গে রাজারহাট-গোপালপুর পুরসভা এবং কিছু সংযুক্ত এলাকা নিয়ে ২০১৫ সালে তৈরি হয় বিধাননগর কর্পোরেশন। মোট ওয়ার্ড সংখ্যা ৪১টি। তবে, সল্টলেক এলাকার ওয়ার্ডগুলির সম্পত্তি করের সঙ্গে তৎকালীন রাজারহাট-গোপালপুর এলাকার ওয়ার্ডের সম্পত্তি করের পরিমাণ এখনও পৃথক রয়েছে। একই পুরসভায় পৃথক সম্পত্তি কর কেন, তা নিয়ে বার বার প্রশ্ন ওঠে। তাই ৪১টি ওয়ার্ডেই একই হারে সম্পত্তি কর চালুর পরিকল্পনা করছে পুরসভা।
যতদিন না এই কাজ হয়, ততদিন ২৬ ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের মিউটেশন রাজারহাট-গোপালপুর পুরসভার আদলে হবে। অর্থাৎ, ওই এলাকার বাসিন্দারা যে হারে পুরসভায় সম্পত্তি কর জমা দেন, এই দুই ওয়ার্ডের বাসিন্দারা সেই হারেই সম্পত্তি কর জমা করবেন। পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই দু’টি ওয়ার্ডে মিউটেশনের পরিকল্পনা অনেকদিন ধরেই ছিল। প্রশাসনিক অনুমতি পাওয়ার পর তা চালু হয়েছে। ফাঁকা জমিগুলি আগে মিউটেশন হবে। তারপর বাড়ি। এই দুই ওয়ার্ডে কাজ শেষ হলে, পরবর্তী দু’টি ওয়ার্ডে শুরু হবে। মিউটেশন শেষ হয়ে গেলে আর বিএলএলআরও দপ্তরে গিয়ে খাজনা দিতে হবে না। অন্যান্য ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের মতো তাঁরাও পুরসভায় সম্পত্তি কর জমা দেবেন।