সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
জমি দখলের মামলায় আদালতে জমা দেওয়া চার্জশিটে ইডি জানিয়েছে, সন্দেশখালি এলাকায় ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে রেখেছিলেন শেখ শাহাজাহান, তাঁর ভাই আলমগীর, দেদার বক্স মোল্লা, শিবপ্রসাদ হাজরা। কেউ চ্যালেঞ্জ করলেই জুটত মারধর। খুনও হয়েছেন একাধিক ব্যক্তি। এছাড়া রয়েছে খুনের চেষ্টার অভিযোগ। তাঁদের হাতে বিপুল পরিমাণ বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে, যা দিয়ে লোকজনকে ভয় দেখানো হতো। একদিকে দাপট ও অন্যদিকে রাজনৈতিক প্রভাব কাজে লাগিয়ে পুলিসের এফআইআর থেকে শাহাজাহান নিজের ও ভাই আলমগীরের নাম বাদ দিয়েছিলেন। জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতিসহ সমস্ত জায়গায় তিনিই ছিলেন শেষ কথা। এই কারণে এলাকায় সকলে তাঁকে ভয় করত। চার্জশিটে উল্লেখ রয়েছে, সরবেরিয়ায় তাঁর মাছের আড়তে সমস্ত মাছ ব্যবসায়ীকে মাছ ফেলতে হতো। অন্য কোথাও মাছ গেলেই ‘শাস্তি’ অনিবার্য। একইসঙ্গে ইডি চার্জশিটে জানিয়েছে, শাহাজাহানের মেয়ের নামে থাকা মাছের কোম্পানি সাবিনা ফিসারিজের হিসেব অনুযায়ী, তারা ৫৪ লক্ষ টাকার মাছ কিনেছে শিবু হাজরার কোম্পানি হাজরা ফিসারিজ থেকে। কিন্তু বাস্তবে কোনও কেনাবেচা হয়নি। শিবু হাজরার কোম্পানি শাহাজাহানের সংস্থার থেকে ৫০ লক্ষ টাকার বেশি ইমারতি দ্রব্য কিনেছে বলে জানিয়েছে। বাস্তবে এমন কোনও দ্রব্য সরবরাহ হয়নি বলেই তদন্তে উঠে এসেছে। পাশাপাশি ছ’টি কনস্ট্রাকশন কোম্পানির নাম রয়েছে চার্জশিটে। জমি দুর্নীতি করে আসা যাদের কাছে পার্ক করা হয়েছে। একইসঙ্গে দু’টি ট্রাস্টের কথা তুলে ইডি চার্জশিটে জানিয়েছে, জমি দখল করে আসা নগদ এখানে ঢোকানো হয়। একটি ট্রাস্টের মালিক আলমগীর। এই সংস্থার নামে একাধিক জমি কেনা হয়েছে। পেমেন্ট গিয়েছে ট্রাস্টের অ্যাকাউন্ট থেকে। গোটা টাকাটাই দুর্নীতির বলে ইডি চার্জশিটে দাবি করেছে।