সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
গত রবিবার থেকে নিখোঁজ ছিল ওই কিশোর। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে বারাসতের কাজিপাড়ায় তার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এ নিয়ে শুক্রবার ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে এলাকায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয় পুলিসকে। রাতভর এলাকায় টহল দিতে হয় পুলিসকে। পরিবারের সদস্যদের দাবি, খুন করে একটি পরিত্যক্ত শৌচাগারে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল কিশোরকে। এখনও পুলিস কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এলাকায় মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিস ও কেন্দ্রীয় বাহিনী। যে শৌচাগার থেকে মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে, সেটি ঘিরে দিয়েছে পুলিস। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, কিশোরের চোখ উপড়ে নেওয়া হয়েছে। পেটের একাংশ ক্ষতবিক্ষত। শরীরের বিভিন্ন অংশ কেটে পাচারের উদ্দেশ্যেই তাকে খুন করা হয়েছে। পাশাপাশি তাঁদের আরও দাবি, গত রবিবার থেকে সে নিখোঁজ থাকলেও পুলিস তাকে খুঁজে পায়নি। যদি বিষয়টিকে গুরুত্ব দিত, তাহলে হয়তো প্রাণ বাঁচানো যত ওই কিশোরের। যদিও এই দাবিকে মনগড়া বলে দাবি করেছে পুলিস। পুলিসের একটি সূত্র মনে করছে, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে ওই কিশোরকে। এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিস।
এ নিয়ে বারাসত পুলিস জেলার সুপার প্রতীক্ষা ঝাড়খাড়িয়া বলেন, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। তদন্তের জন্য ফরেন্সিক দলকে খবর দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিস সুপারের নেতৃত্বে একটি টিম এই ঘটনার তদন্ত করছে। নিখোঁজের অভিযোগ পওয়া মাত্র আমরা তদন্ত শুরু করেছি। কিন্তু এখনও কোনও কোনও তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে পরিবারের লোকজন অঙ্গ পাচারের যে অভিযোগ করছেন, তা সঠিক নয়। ময়নাতদন্ত সঠিকভাবেই হয়েছে।