দেশ

যৎসামান্য অর্থ বরাদ্দ করলেও নিত্যনতুন ফরমানে বাংলার উপর চাপ বাড়াচ্ছে কেন্দ্র

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: গত ১৩ বছরে বাংলার কৃষকদের আয় বেড়েছে ২১১ শতাংশ। জাতীয় কৃষি উৎপাদনশীলতা যেখানে ১৪৩.৬ শতাংশ, সেই জায়গায় বাংলায় তা ১৯২ শতাংশ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত কৃষক বন্ধু, বাংলা শস্য বিমা ইত্যাদি প্রকল্পের উপর ভিত্তি করে কৃষিক্ষেত্রে এই সাফল্য পেয়েছে বাংলা। রাজ্যের কৃষিক্ষেত্রকে চাঙ্গা রাখতে এক বছরে ৯৮০০ কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ হয় পশ্চিমবঙ্গে। বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সাহায্যপ্রাপ্ত প্রকল্পগুলির মাধ্যমে এই বাজেটের পাঁচ শতাংশেরও কম আসে। বাংলার প্রতি কেন্দ্রের বিমাতৃসুলভ মনোভাব এতেই স্পষ্ট বলে দাবি রাজ্য সরকারের। এই সূত্র ধরেই শনিবার কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে তোপ দাগলেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। বৈঠকে মন্ত্রী ছাড়াও যোগ দিয়েছিলেন কৃষিসচিব ওঙ্কার সিং মিনা এবং দপ্তরের পদস্থ আধিকারিকরা।
কোন প্রসঙ্গে উঠে এল এসব কথা? সূত্রের খবর, রাজ্যে কৃষি সংক্রান্ত গবেষণা কেন্দ্র ও পরিকাঠামো উন্নয়নের পরামর্শ দিয়ে সম্প্রতি শোভনদেববাবুকে চিঠি লিখেছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী। তাতে সার সরবরাহ নিয়ে রাজ্যের স্বার্থবিরোধী নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে দাবি প্রশাসনিক মহলের। ওই চিঠির সূত্রেই বৈঠকে সুর চড়ান রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘অর্থ বরাদ্দ না করলেও গবেষণা কেন্দ্র সহ অন্যান্য পরিকাঠামো উন্নয়ন নিয়ে নিত্যনতুন ফরমান চাপাতে পিছপা হয় না মোদি সরকার। রাজ্যের ৯৮০০ কোটি টাকার কৃষি বাজেটের ৫ শতাংশও দেয় না কেন্দ্র। সারে ২০২১ সালে রাজ্যের প্রাপ্য ছিল ৫ লক্ষ মেট্রিক টন। এখন সেটা মাত্র ১ লক্ষ ২৭ হাজার মেট্রিক টনে নামিয়ে আনা হয়েছে।’ আসন্ন বাজেটে যাতে কেন্দ্রের তরফে কৃষকস্বার্থ বিরোধী কোনও পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, সে বিষয়েও সজাগ করেছেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী।  
কেন্দ্রের বঞ্চনা নিয়ে সরব হওয়ার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলার কৃষিক্ষেত্রে যে সাফল্য এসেছে, সেই কথাও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সামনে তুলে ধরেন শোভনদেববাবু। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে তিনি জানিয়েছেন, ২০১১ সাল থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে কৃষি উন্নয়ন। বাংলার ৯৬ শতাংশই প্রান্তিক কৃষক। কিন্তু সারা ভারতের তুলনায় এ রাজ্যে কৃষিজমি মাত্র ২.৭ শতাংশ। অথচ দেশের  জনসংখ্যার ৭.৮ শতাংশের বসবাস পশ্চিমবঙ্গে। এসব প্রতিকূলতা সত্ত্বেও রাজ্য সরকার কৃষিক্ষেত্রের উন্নয়ন অব্যাহত রেখেছে। ধান, আলু ও পাট উৎপাদনে দেশে এক নম্বরে, ভুট্টায় পাঁচ নম্বর স্থানে রয়েছে বাংলা। ২০টি বড় রাজ্যের মধ্যে কৃষকদের আয় বৃদ্ধির নিরিখে বাংলাই এগিয়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন শোভনদেবববাবু। 
প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনা এ রাজ্যে চালুর ব্যাপারে কেন্দ্র জোর দিতেই কৃষিমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, বাংলার কৃষকরা মুখ্যমন্ত্রীর চালু করা ‘বাংলা শস্য বিমা’ই বেশি পছন্দ করছেন। বাংলা ছাড়া গুজরাত, বিহার, তেলেঙ্গানা, ঝাড়খণ্ড, অন্ধ্রপ্রদেশ ও পাঞ্জাবের মতো রাজ্যগুলি এই ধরনের প্রকল্পের অনুকরণে নিজস্ব প্রকল্প চালু করেছে। রাজ্যের কৃষক বন্ধু প্রকল্পে উপভোক্তার সংখ্যা ১ কোটি ৯ লক্ষ। সেই কথাও জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের কৃষিমন্ত্রী। রাজ্যে উৎপাদিত সুগন্ধি চালের রপ্তানি সংক্রান্ত সমস্যা এবং গোবিন্দভোগ চালের এইচএসএন কোডের দাবি জানানো হয়েছে রাজ্যের তরফে। 
1d ago
কলকাতা
রাজ্য
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

একাধিক সূত্র থেকে আয় ও সঞ্চয় বৃদ্ধির যোগ। কাজকর্মে উন্নতি হবে। মানসিক চঞ্চলতা ও ভুল...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৪.৯৩ টাকা৮৬.৬৭ টাকা
পাউন্ড১০৪.৭২ টাকা১০৮.৪৪ টাকা
ইউরো৮৬.৮১ টাকা৯০.১৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
5th     January,   2025
দিন পঞ্জিকা